ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে আতঙ্কে কেটেছিল জনজীবন। মামুন হত্যাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার ১৯ তারিখ খাগড়াছড়ি উপজেলা বোয়ালখালী লারমা স্কয়ার আগুন পরে রাঙ্গামাটিসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। গত ২০ সেপ্টম্বর (শুক্রবার) ঢাকার একটি সমাবেশ থেকে বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল।
তবে অন্তবর্তীকালীন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দলের প্রতিনিধি পরিদর্শন ও আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ায় চেনা ছন্দে ফিরেছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি। পাহাড়ে জনজীবন অনেকটাই এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ৭২ ঘন্টা সড়ক অবরোধ শেষে সড়কগুলো পুনরূপ পেতে শুরু করেছে। পরিবহন ও জনজীবনে আবারো বেড়েছে ব্যস্ততা। বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে আবারও ভিড় জমাচ্ছে পর্যটকরা।
পরিবহন শ্রমিক আব্দুল মালেক জানান, চলমান পরিস্থিতির কারণে সাজেক এ আটকা পরেছিলো। এখন সব স্বাভাবিক হয়েছে। খাগড়াছড়িতে থেকে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল করতেছে। মানুষ নিজ গন্তব্যে ফিরতে শুরু করেছেন। আমরা পাহাড়ে শান্তিতে সবাই এক সাথে মিলেমিশে থাকতে চাই।
টাঙ্গাইল থেকে আসা পর্যটক মোঃ কামরুল জানান, পাহাড়ে সম্পর্কে আগে আমার ধারণা ছিলো না। সাজেক এ গিয়ে আটকা পড়লাম। সেনা বাহিনীরা আমাদের আস্তে বারণ করেছিলেন। গত তিন আটকা পরেছিলাম। আজকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তায় পর্যটকবাহী গাড়িগুলোকে সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে পাহাড়ে আমরা চাইবো সকলের সহাবস্থান করে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান জানান,
চলমান পরিস্থিতিতে যৌথবাহিনী টহল চলছে এবং জেলার উপজেলাগুলোতে গিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সভা করছেন জানালেন জেলা প্রশাসক। আর যদি কেউ পাহাড়ে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার পায়তারা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে জানালেন তিনি।
পাহাড়ে সকল সংকট কেটে আবারও শান্তি ফিরে আসার প্রত্যাশা জনসাধারণের।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত