ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি: রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী এবং চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনার উভয়দিকে কর্ণফুলি নদীর উপর নৌ পথে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত ২ টি ফেরি নদীতে স্রোতের কারনে আবারও সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টা হতে বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে গত ২৫ আগস্ট কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীল ওয়ের ১৬ টি জলকপাট ছাড়ার ফলে ঐদিন সকাল ৮ টা হতে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেলেও পরেরদিন ২৬ আগস্ট ফেরি চলাচল আবারও স্বাভাবিক হয়।
ফেরির চালক, কর্মচারী এবং বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীল ওয়ে ছাড়া থাকা ছাড়াও কর্ণফুলী নদীতে যখন জোয়ার আসে তখন ফেরিতে উঠার সিঁড়িতে অতিরিক্ত পানি উঠে গেলে দিনের কয়েক ঘন্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।
এই ফেরি চলাচল বন্ধের ফলে রাঙামাটি টু বান্দরবান-: রাজস্থলী সড়কে চলাচলকারী সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েন এই রুটে চলাচলকারী শত শত যাত্রী। তাদের বিকল্প হিসাবে ইঞ্জিন চালিত বোটে পার হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়া অতি প্রয়োজনীয় গাড়ি গুলো চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গোডাউন সেতু ব্যবহার করে চলাচল করছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর ) দুপুর ১ টায় এই প্রদিবেদক যান চন্দ্রঘোনা ফেরি ঘাট এলাকায়। এসময় চন্দ্রঘোনা ফেরি ঘাট এলাকার বাসিন্দা মো: সোহেল ও মো: মুন্না জানান , আমরা কর্ণফুলী নদীর তীরে বসবাস করি। আজকে (সোমবার) নদীতে প্রচুর পানি দেখা যাচ্ছে। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হতে পানি ছাড়ার ফলে নদীতে তীব্র স্রোত দেখা যাচ্ছে। ফলে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সিএনজি চালক মো: ইমরান ও মো: বাচা জানান, আমরা সিএনজি নিয়ে বসে আছি, ফেরি চলাচল বেলা ১২ টা হতে বন্ধ রয়েছে।
ফেরির কর্মচারী মো: শাহজাহান সোমবার দুপুর ১ টা ২০ মিনিটে এই প্রতিবেদককে জানান, সকালে কয়েকবার ফেরি চলাচল করতে পারলেও বেলা ১২ টার দিকে কর্ণফুলি নদীতে জোয়ার এসে ফেরির গ্যাংওয়েতে প্রচুর পানি এসেছে। ফলে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তিনি আরোও জানান, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীল ওয়ে দিয়ে পানি ছাড়া হচ্ছে, ফলে কর্ণফুলী নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় আমরা ফেরি চলাচল করতে পারছি না।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত