খাগাড়ছড়ি : কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলে প্লাবিত হয়ে গেছে খাগাড়ছড়ির মাটিরাঙ্গার তাইন্দং, তবলছড়ি, বড়নাল, আমতলী ও গোমতি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম। পানিতে তলিয়ে গেছে মানুষের বসত ঘর। ঘরের উপর দিয়ে ছুটে চলছে পানির ঢেউ। চুলাভর্তি পানি। নেই রান্নার সুযোগ।
পাশাপাশি ভারী বর্ষনে পাহাড় ধ্বসের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মানুষের বসত ঘর। মাটিরাঙ্গার বন্যা দুর্গত মানুষের কষ্টের যেন শেষ নেই। এমন পরিস্থিতিতে মাটিরাঙ্গার বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাড়িয়েছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (২৩ আগষ্ট) সকাল থেকে মাটিরাঙ্গার বিভিন্ন ইউনিয়নে বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।
এসময় মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. মিজানুর রহমান, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. ইশতিয়াক আহম্মেদ, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ জাহান, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর পাটোয়ারী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন ছাড়াও তবলছড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইব্রাহিম ও তাইন্দং ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো. আমির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার দিনভর মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন গ্রামের তিনশ দুর্গত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বেলছড়ি, গোমতি ও আমতলী, বর্নাল, তবলছড়িও তাইন্দংয়ের বিভিন্ন গ্রামে দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।
শুকনো খাবার বিতরণকালে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, বন্যাদুর্গত কোন মানুষ না খেয়ে থাকবেনা। পত্যেকের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়া হবে। দুর্গত কোনো মানুষ না খেয়ে থাকবে না। সকলের মুখে খাবার তুলে দেয়াড় জন্য সরকারের তরফ থেকে সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত