• মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
মহালছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পালিত হলো পবিত্র ঈদ ই মিলাদুন্নবী (সাঃ) গুইমারায় সীরাতুন্নবী (সা:) উপলক্ষ্যে জামায়াতের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত প্রথমবারের মতো চট্রগ্রাম বিভাগে NUSDF Bangladesh আয়োজন করে ‘পাবলিক স্পিকিং মাস্টারমাইন্ড’ প্রতিযোগিতা গোয়ালন্দে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে পৃথক মিছিল অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়িতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত   গুইমারাতে ৩০ কেজি গাঁজা সহ একজন গ্রেপ্তার গুইমারাতে এডিপির বিশ লাখ টাকার প্রকল্পে দুর্নীতি কাজ না করেই টাকা উত্তোলন ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে রাঙামাটিতে ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা দ্বিতীয় বারের মতো বন্ধ করা হলো কাপ্তাই স্পীল ওয়ের ১৬ জলকপাট লংগদুতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নদীতে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ সেনাবাহিনীর সিন্দুকছড়ি জোনে মাসিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

খাগড়াছড়িতে আবারোও বন্যায় নির্মাণাঅঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দী সহস্ত্রাধিক পরিবার

ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।। / ১২২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪

ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।। খাগড়াছড়িতে আবারোও বন্যায় নির্মাণাঅঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দী সহস্ত্রাধিক পরিবার। এ নিয়ে চারবার ডুবলো চেঙ্গি ও মাইনি নদীর নির্মাণাঅঞ্চলের সহস্ত্রাধিক পরিবার। বৃহস্পতিবার ভোরে হঠাৎ করে আবারো ও ভারী বর্ষণে চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে আশ্রয় নিলো পরিবারগুলো।

খাগড়াছড়ি পৌর শহরের সাতটি সড়ক এখন পানির নিচে। ফলে শহরের লোকজনও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। চেংগী নদীর পানি বুধবার কমে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলো  থেকে পরিবারগুলো থেকে ঘরে ফিরে গিয়ে  ঘরপরিষ্কার কাজে ব্যস্ত ছিল। রাতে প্রচন্ড ভারী বৃষ্টি হওয়ায় সকাল বেলায় উঠে দেখে আবারোওপানি। ফের আশ্রয় কেন্দ্রে স্থান হয় পরিবারগুলোর। পৌরসভার মহিলা কলেজ সড়ক সবজি বাজার, গঞ্জ পাড়া, গরু বাজার, শান্তিনগর,  শব্দ মিয়া পাড়া সড়ক,  মুসলিম পাড়া, সহ সাতটি সড়ক পানিতে তৈতই করছে।সাজেক সড়ক ৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে, । নতুন করে সড়ক ডুবেছে খাগড়াছড়ি গেইট, কলেজ রোড, মহালছড়ি সড়ক, দীঘিনালা লংগদু,  বাঘাইছড়ি সাজেক সড়ক। জেলার মাটিরাঙ্গা  উপজেলার এলাকার তাইন্দং তবলছড়ি সহ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো পানিতে ডুবে গেছে। একইভাবে  পানছড়ি উপজেলার উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে। দীঘিনালা উপজেলার মাইনি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে  মেরং ইউনিয়নের সবকটি গ্রাম পানিতে  নিম্মজ্জিত।

খাগড়াছড়ি জেলার রেড ক্রিসেন্ট কর্মী ও জেলার বিভিন্ন মানবকল্যাণ সংস্থার লোকজন ইতোমধ্যে পানিবন্দী পরিবারদের সহায়তায় নেমে পড়েছে। এবং খাগড়াছড়ি  পৌরসভার পাশাপাশি জেলা বিএনপি ও খাগড়াছড়ি মানবকল্যাণ সংস্থা সহ বিভিন্ন সংগঠন এখন বন্যার্তদের মাঝে খিচুড়ি শুকনা খাবার বিতরণ করছে।

 

পানিবন্দী পরিবারের সদস্য কার্তিক দেবনাথ জানান, এই পর্যন্ত খাগড়াছড়ি চার পানি উঠেছে দুই মাসের মাথায়। তবে আজকের মতো পানি আমি কখনো দেখেনি। আমার ঘরে এখন সম্পূর্ণ পানি। কোন রকম বৌ,বাচ্চা, ছেলে -সন্তান নিয়ে এক কাপড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছি। কি করবো বুঝতে পারছি না।

পানিবন্দী সাধারণ জনগণ জানান, বারবার শহরের মধ্যে পানি উঠার কারণ হচ্ছে নদী-নালা, খাল, ড্রেন সংস্কার না করার ফলে। আর টানা যে হারে বৃষ্টি হচ্ছে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকলে হইতো হতো না।

 

পৌর প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা জানান, খাগড়াছড়িতে পানিবন্দী মানুষের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছেন। খাগড়াছড়ির ১০৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এবং পাহাড়ের পাদদেশে যাদের বসবাস তাদেরকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরো জেলার জন্য ৪০০শত মেট্রিক টন। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার জন্য ১২ মেট্রিক টন খাদ্য শস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  প্রায় ২ হাজার ৫শত ৫০টি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পানিবন্দী পরিবারের জন্য শুকনো খাবার মজুদ রাখা আছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ