এম মহাসিন মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় অসংখ্য গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
ঢলের পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় গতকাল বিকাল থেকে বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বন্যায় উপজেলার মেরুং, কবাখালী ও বোয়ালখালী ইউনিয়নে কয়েকশো পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন কতৃক ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যায় প্লাবিত এলাকাগুলোর মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও উপজেলার উচু এলাকা হিসাবে পরিচিত দীঘিনালা ও বাবুছড়া ইউনিয়নে মাইনী নদীর তীরবর্তী অসংখ্য গ্রাম এবারের বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে জানা যায়।
বন্যায় শত শত হেক্টর রোপাআমন ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে। পর পর তিনবারের বন্যায় কৃষকসহ উপজেলার সাধারন মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে বলে জানান, পাবলাখালী মৌজা প্রধান চিমনি চাকমা।
বন্যার পানিতে উপজেলা সদরের প্রধান সড়কটি তলিয়ে যাওয়ায় সাধারন লোকজনকে ভ্যানেচড়ে পারাপার হতে দেখা গেছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মেরুং ইউনিয়নের ছোট মেরুং বাজারসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
তাছাড়াও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বাঘাইছড়ি ও লংগদু সড়কে যাতায়াতকারি অসংখ্য সাধারন মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা সহ আশ্রয় কেন্দ্রে আসা পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশীদ।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত