এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের বৃষ্টিতে পদ্মায় জাল ফেলে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়া গেলেও এবার পদ্মায় ইলিশের আকাল পড়েছে। জেলেরা জাল ফেলে কাঙ্খিত মাছ না পেয়ে হতাশায় দিন গুনছেন।
ঠিক এমনি সময় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে জাল ফেলে মানিকগঞ্জের আরিচা এলাকার জেলে আনন্দ বাবু বড় বড় ৬টি ইলিশ মাছ ধরে।
বুধবার (৪ আগস্ট) ভোররাতে দৌলতদিয়া ৫নং ফেরিঘাট এলাকার পদ্মায় জাল ফেলে ৩কিলোমিটার দুরে মজলিশপুর এলাকায় গিয়ে জাল তুললে মাছগুলো ধরা পড়ে। ওজন দিয়ে দেখা যায় মাছ ৬টির ওজন ৮কেজি।
পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিক্রির উদ্দেশ্যে দৌলতদিয়া বাইপাস সড়কের পাশে অবস্থিত মো. আনোয়ার খাঁনের আড়তে আনলে সেখানে উন্মুক্ত নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মৎস ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ মাছ গুলো ২হাজার ৩০০টাকা কেজি দরে ১৮হাজার ৪০০টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ঢাকার এক বর্নাঢ্য ব্যবসায়ীর নিকট ২হাজার ৩৫০টাকা কেজি দরে মোট ১৮হাজার ৮০০টাকায় বিক্রি করেন।
জেলে আনন্দ বাবু জানান, মৌসুম শুরু হলেও পদ্মায় আশানুরুপ ইলিশ না পেয়ে আমরা খুবই হতাশ হয়ে পরেছিলাম। বুধবার ভোর রাতে পদ্মা নদীতে জাল ফেললে মাছগুলো ধরা পড়ে। পরে মাছগুলো দৌলতদিয়া ঘাটে এনে বিক্রি করি।
এ সময় মৎস ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান শেখ বলেন, পদ্মার ইলিশ মাছের প্রচুর চাহিদা কিন্তু বর্তমানে ইলিশ মাছ খুব একটা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মাছগুলো একটু বেশী দামেই কিনেছি বিক্রির জন্য খুব বেশী সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। মাছটি লাভে বিক্রি করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত