রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পানিতে জাগ দেওয়া পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক,কৃষাণীরা ।
গোয়ালন্দে বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষক-কৃষানি রাস্তাঘাট, মাঠ ও বাড়ির আঙিনায় পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন। গোয়ালন্দ উপজেলার উজান চর,দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম, ছোটভাকলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়, রাস্তার ধারে ও পুকুর পাড়ে পাটের আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত অনেকেই। তবে এ কাজে নারীদেরও ব্যস্ত দেখা গেছে ফরিদপুর -গোয়ালন্দ বেরিবাধ সড়কের পাশে পুকুর পাড়ে পাটের আঁশ ছাড়ানো ও পাটখড়ি গোজগাজ করতে ব্যস্ত গৃহবধু আমেনা খাতুন (৪০) বলেন- আমরা এখানে কাজ করছি পাটখড়ির জন্য। দুই আঁটি পাটের আঁশ ছাড়ালে এক আঁটি খড়ি আমি পাবো। দিনে ৫০ থেকে ৬০ আঁটি পাটের আঁশ ছাড়াতে পারলে অর্ধেকটা খড়ি আমি নিতে পারবো মালিকের কাছ থেকে। এতে মালিকও লাভবান, আমরাও লাভবান। দৌলতদিয়া ইউনিয়নের হামিদ মৃধাহাট এলায় পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন হারান মোল্লা (৫০), খলিল মোল্লা (৫২), শরীফুল ইসলাম (৩৮), আব্দুল মালেক (৫২), আবুল মোল্লা (৫০) সহ আরো বেশ কজন শ্রমিক। তারা আঁটি চুক্তিতে পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন। এর মধ্যে হারান মোল্লা বলেন- আমাদের শ্রমিক হিসেবে নিয়ে মালিক কাজ করাচ্ছেন পাটের মালিক হারুন মৃধা বলেন- এবছর পাটের ফলন ভালো হয়েছে। আশা করি দামও ভালো পাবো। দৌলতদিয়া ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন পার্বত্য কন্ঠ কে বলেন- এবছর পাটের দাম ভালো থাকার কারণে কৃষক পাট চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গোয়ালন্দ অঞ্চলে এবার উচ্চফলনশীল জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। খুব ভালো জাতের পাট। ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। আশা করি কৃষক দামও ভালো পাবে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত