আনিসুর রহমান,রাজারহাট কুড়িগ্রামঃ
গত কয়েক দিনের অনবরত বৃষ্টি উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি।পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গনের।নদী কেড়ে নিচ্ছে ঘর বাড়ি ফসলি জমি।ভিটে মাটি হাড়িয়ে নিঃস্ব প্রায় তিস্তা পাড়ের মানুষ। ঠিক সেই সময় নদী ভাঙ্গন ও তিস্তা পাড়ের মানুষের দুর্দশা দেখতে আসেন কুড়িগ্রামের এমপি ডা হামিদুল হক খন্দকার। এ সময়ে ডা: হামিদুল হক খন্দকার বলেন,প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নদী ভাঙা মানুষের জন্য তার বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। নদী ভাঙন ঠেকাতে এবং নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সরকার নদী খনন ও তীররক্ষা কর্মকান্ডে মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ মেগা প্রকল্পে কুড়িগ্রাম অন্যতম অবস্থানে রয়েছে। এ প্রকল্পের আওয়তায় তিস্তা,ধরলা এবং ব্রহ্মপত্র নদের বিভিন্ন ভাঙ্গন এলাকায় নদী শাসন করা হবে।
২০ জুন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি ডা: হামিদুল হক খন্দকার
জেলার রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের সরিষাবাড়ী,বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালিরহাট ও ডাঙ্গারহাট ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় ভাঙ্গনের শিকার অর্ধশতাধিক মানুষ তাকে জড়িয়ে ধরে কান্না জড়িত কন্ঠে নদী ভাঙনের প্রতিকার চান। তিনি উপস্থিত নদী ভাঙ্গন মানুষদের বলেন শীঘ্রই নদীর ভাঙন রোধ করা হবে,তিনি আরও বলেন-প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামের নদী ভাঙা মানুষের জন্য তার বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে। এ জন্য তিনি কুড়িগ্রামের নদী শাসনে বরাদ্দ দিয়েছেন। এই বরাদ্দ বাস্তবায়ন হলে কুড়িগ্রামকে চিরদিনের জন্য নদী ভাঙন থেকে মুক্তি পাবে।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন-কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান,উপজেলা স্বাস্থ্য প.প কর্মকর্তা ডা: মো: মিজানুর রহমান,এমপি’র প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক এরশাদুননবী নবীন,বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: তাইজুল ইসলাম ও স্থানীয় নদী পাড়ের মানুষ।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত