মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার বেথুড়ী গ্রামের ফুলমিয়া (৫৫) হার্নিয়া রোগের চিকিৎসার জন্য মাগুরা শহরের কাউন্সিলপাড়াস্থ "মাতৃসেবা" ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছিলেন । গত ২৯ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক পাঁচটায় ডা. শফিউর রহমান সফলতার সাথে রোগীর দেহে অস্ত্রপ্রচার করেন, কিন্তু পরের দিন শুক্রবার রোগী কিছুটা অসুস্থ বোধ করায় ক্লিনিকের মালিক রনি রাত আটটার দিকে কর্তব্যরত আয়াকে প্যাথেড্রিন ইনজেকশন দিতে বলেন। ইনজেকশন প্রয়োগের পর পরই রোগী অসুস্থ বোধ করে ও প্রেসার দ্রুত নেমে যায়, পরে ডাক্তার শফিউর রহমান দ্রুত ক্লিনিকে এসে মালিকের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তার বিনা অনুমতিতে প্যাথেড্রিন ইনজেকশন দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। অনেক চেষ্টা করার পরও ওই রাতে অর্থাৎ ৩১ জুলাই শনিবার আনুমানিক ভোর তিনটায় রোগী মৃত্যুবরণ করেন এবং সূর্য উঠার আগেই লাশ বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয । রোগীর এক আত্মীয় জানান " ক্লিনিক থেকে বলা হয়েছে আল্লাহর জিনিস আল্লাহ নিয়ে গেছে, আমরা উছিলা মাত্র, বাড়ি নিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন"।
সম্প্রতি সময়ে মাগুরা শহরে প্রশাসনের নাকের ডগায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে এ ধরনের মানহীন ক্লিনিক, সিভিল সার্জন মাঝে মধ্যে দায়সারা ভাবে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও, ক্লিনিক মালিক সমিতিকে হাত করে এরা পুনরায় কাজ শুরু করে। এইসব মানহীন ক্লিনিকের মালিকরা অধিকাংশ অশিক্ষিত ও মূর্খ, কোন ধরনের ডাক্তারি পড়াশুনো বা প্রশিক্ষণ ছাড়াই গ্রাম থেকে আসা গুরুতর রোগীদের চিকিৎসাপত্র এরাই দিয়ে থাকে।
এ ব্যাপারে ডাক্তার শফিউর রহমানের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান " আমি সফলতার সাথে রোগীর শরীরে অস্ত্রোপচার করলেও, ক্লিনিক মালিক রনি আমার অজ্ঞাতে প্যাথেড্রিন ইনজেকশন প্রয়োগ করে, যার ফলে রোগীটি অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।"
মাগুরার ক্লিনিক মালিক সমিতির সেক্রেটারি ফরহাদ খন্দকার জানান "মাতৃসেবা ক্লিনিকটি মানহীন থাকায় কিছুদিন আগে এটি সিলগালা করে দেয়া হয়, পরে কিছু শর্ত পূরণ করার শর্ত সাপেক্ষে আবার খুলে দেয়া হয়। এখন তারা আমাদের অ্যাসোসিয়েশনের মেম্বার।"
সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন রোগীদের জীবন নিয়ে ছেলে খেলা আর কতদিন চলবে? আর কত মানুষ লাশ হলে মাগুরায় অপচিকিৎসা বন্ধ হবে?
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত