আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি:
৪ জুন জাতীয় চা দিবস। ফলে সারাদেশের ১৬৮টি চা বাগানের মধ্যে শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারীর (শ্রমিক সম্পর্কিত পুরস্কার) টানা দুইবার এম এম ইস্পাহানি গ্রুপের নেপচুন চা বাগানের দখলে। আর শ্রেষ্ঠ চা পাতা চয়নকারী শ্রমিক হিসেবে এবার দেশসেরা হয়েছেন নেপচুন চা বাগানের সফল চা শ্রমিক জেসমিন আক্তার। ২০২৩ সালেও দেশসেরা শ্রমিক নির্বাচিত হয়েছিলেন নেপচুন চা বাগানের উপলক্ষী ত্রিপুরা।
আজ ৪জুন মঙ্গলবার ঢাকাস্থ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চা দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে দেশসেরা চা পাতা চয়নকারী হিসেবে পুরস্কার গ্রহন করলেন জেসমিন আক্তার। এছাড়া বাগান ভিত্তিক পুরস্কার গ্রহন করেন নেপচুন চা বাগানসহ আরও ৭টি বাগান মালিক। এম এম ইস্পাহানি গ্রুপের নেপচুন চা বাগান সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬০ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় ২৭০০ একর আয়তন বিশিষ্ট পাহাড়-সমতল এলাকায় গড়ে উঠে এম এম ইস্পাহান গ্রুপের “নেপচুন চা বাগান”। ২০০৯ সালে বৃক্ষ রোপনে দেশসেরা এবং ২০২০ সালে গ্রীণ ফ্যাক্টরী এওয়ার্ড মনোনীত হয় নেপচুন চা বাগান।
দীর্ঘ ৬৪ বছরে নেপচুন চা বাগান নানা সফলতার পাশাপাশি চা উৎপাদনেও শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে চলছে।
২০২২ সালের চা পাতা চয়ন বা উত্তোলনে দেশসেরা চা শ্রমিক নির্বাচিত হয়েছিলেন উপলক্ষী ত্রিপুরা। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালেও (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) সারাদেশের ১৬৮টি চা বাগানের মধ্যে চা পাতা উত্তোলন বা চয়নে সেরা শ্রমিক নির্বাচিত হয়েছেন জেসমিন আক্তার।
৪জুন জাতীয় চা দিবসে দেশসেরা চা পাতা চয়নকারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহন করেছেন জেসমিন আক্তার। দেশসেরা চা শ্রমিক নির্বাচিত হওয়ার আনন্দে আবেগাপ্লুত জেসমিন আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আমি গত ৪১ বছর ধরে একই বাগানে বিশ্বস্থতার সহিত চা পাতা উত্তোলন করে আজ দেশসেরা হতে পেরে সত্যি আনন্দিত। গত এক বছরে আমি ২৫২১৭ কেজি চা পাতা উত্তোলন করতে সক্ষম হই। ২পুত্র,১কন্যা ও স্বামীসহ আমার সংসারের ৮জন সদস্য এই নেপচুন চা বাগানে কর্মরত।
এম এম ইস্পাহানি গ্রুপের নেপচুন চা বাগানের উপ-ব্যবস্থাপক মো. রিয়াজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের ১৬৮টি চা বাগানের মধ্যে নেপচুন চা বাগান থেকে টানা দুইবার দেশসেরা চা শ্রমিক বা পাতা চয়নকারী নির্বাচিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত। শুধু তাই নয় সম্প্রতি সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলের করিমপুরে ৪টি চা বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে ওপেন চা পাতা উত্তোলন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩০ মিনিটে ২৪ কেজি চা পাতা চয়ন (উত্তোলন) করে জেসমিন আক্তার প্রথম হওয়ার গৌরব চূড়ান্তভাবে ধরে রাখেন। গতকাল ৪জুন জাতীয় চা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে জেসমিন আক্তার দেশসেরা চা পাতা চয়নকারী হিসেবে পুরস্কার গ্রহন করেছেন।
প্রতি বছর জাতীয় চা দিবসে মোট আট ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়। এর মধ্যে ৭টি বাগান ভিত্তিক ও একটি পুরস্কার শ্রমিক ভিত্তিক। পর পর দুই বার শ্রেষ্ঠ শ্রমিকের পদকসহ বাগান ভিত্তিক পুরস্কার অর্জন করছেন নেপচুন চা বাগান।