মোঃ হাবীব আজম, ব্যুরো প্রধান, রাঙামাটি:
১৯৮৪ সালের ৩১মে রাতব্যাপী রাঙামাটির বরকলে ভূষণছড়ায় বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর জেএসএস এর সামরিক শাখা (শান্তিবাহীনি) কর্তৃক গণহত্যায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি’র) রাঙামাটি জেলা শাখার উদ্যােগে দোয়া মাহফিল অদ্য বাদে এশা কাঠালতলী জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময়ে দোয়া মাহফিল এর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, এতে আলোচনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবীব আজম, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি) রাঙামাটি জেলা সহ-সভাপতি ও সাবেক প্যানেল মেয়র রবিউল ইসলাম রবি, পিসিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন, এসময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মোঃ শওকত হোসেন, পিসিসিপি রাবিপ্রবি নেতা মোঃ নুর আলম, গোলাম রসুল সোহাগ, পৌর সভাপতি পারভেজ মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদুল ইসলাম রনি সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, ১৯৮৪ সালের ৩১ মে কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং খুনী সন্তু লারমার নেতৃত্বে জেএসএস এর সামরিক বাহিনী কর্তৃক রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ভূষণছগড়া ইউনিয়ন ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রায় চার শতাধিক নিরীহ বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেদিন আহত করা হয়েছিল সহস্রাধিক মানুষকে।
পার্বত্যাঞ্চলে ভূষণছড়া গণহত্যা সংঘটিত হত্যাকান্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ এবং ভয়াবহ হত্যাকান্ড। দীর্ঘ ৪০ বছর পার হলেও রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ভূষণছড়ায় সংঘটিত গণহত্যার বিচার হয়নি। ভূষণছড়ার নিরীহ চার শতাধিক বাঙালি হত্যার সাথে জড়িত শান্তিবাহিনীর খুনীদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচার এবং ফাঁসির দাবি জানানো হয়।
আলোচনা সভা শেষে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন কাঠালতলী জামে মসজিদের পেশ খতিব মাওলানা সেকান্দার হোসাইন রিজভী ও সহকারী পেশ ইমাম ক্বারী হাফেজ আবু তৈয়ব।