সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধন কার্যক্রমে খাগাড়ছড়িতে শীর্ষে রয়েছে মাটিরাঙ্গা উপজেলা। সার্বজনীন পেনশন স্কিমের ওয়েবসাইটের পাওয়া সর্বশেষ তথ্য মতে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেল পর্যন্ত জেলার নয় উপজেলায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে।এরমধ্যে মাটিরাঙ্গা উপজেলায় এক হাজার ৫শ ৫০জন র্সাবজনীন পেনশন স্কীমে নিবন্ধন করেছে।
সার্বজনীন পেনশন স্কিমের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যমতে খাগাড়ছড়ির দীঘিনালায় নিবন্ধন করেছেন ১০৭ জন, পানছড়িতে ৯২ জন, মহালছড়িতে ৫০৪ জন, খাগাড়ছড়ি সদরে ১৭৫ জন, গুইমারায় ১২০ জন, রামগড়ে ৯৮ জন, মানিকছড়িতে ২৮৭ জন, ও লক্ষীছড়িতে ৭২ জন ও মাটিরাঙ্গায় এক হাজার ৫শ ৫০জন র্সাবজনীন পেনশন স্কীমে নিবন্ধন করেছে।
তথ্যমতে জেলা পর্যায়ে সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধন কর্মসূচিতে খাগাড়ছড়ির মাটিরাঙ্গা শীর্ষে রয়েছে।
তথ্যমতে গেল বছরের ১৭ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বজনীন পেনশন স্কিম কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন স্কিম আছে। এগুলো হলো, বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’।
মাটিরাঙ্গার তাইন্দং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. পেয়ার আহম্মেদ মজুমদার বলেন, ইউএনও মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সাধারন মানুষ সার্বজনীন পেনশন স্কীম প্রকল্পকে লুফে নিয়েছে। প্রতিদিনই সাধারন মানুষ স্ব-উদ্যোগে নিবন্ধন করে টাকা জমা দিচ্ছে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী বলেন, আমরা সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ভালো সাড়া পাচ্ছি। বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনয়নে সার্বজনীন পেনশন পদ্ধতির প্রবর্তন করেছেন। এ উদ্যোগ একটি যুগান্তকারী জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ, যা সকল নাগরিকের অবসরকালীন আর্থিক মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ব্যবস্থা কার্যকর হলে আমাদের বয়স্ক জনসাধারণের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত