গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে আরও ১৩ জন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শুক্রবার (৩০ জুলাই) সকাল ৯টার মধ্যে মারা যান তারা।
এদের মধ্যে করোনায় সাতজন এবং পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে। এ ছাড়া আরেকজন করোনা নেগেটিভ হয়ে অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় মারা গেছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর ছয়জন, নাটোরের তিনজন, নওগাঁর তিনজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন মারা গেছেন।
এদের মধ্যে রাজশাহীর চারজন, নওগাঁর দুজন এবং নাটোরের একজন করে সাতজন মারা গেছেন করোনা সংক্রমণে। করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন রাজশাহীর দুজন, নাটোরের দুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন এবং নওগাঁর একজন। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় নাটোরের আরেকজন মারা গেছেন।
পরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ চারজন করে মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন এবং ২২ ও ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।
শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫১৩ শয্যার রামেক করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন রাজশাহীর ১৯৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩৩ জন, নাটোরের ৬৮ জন, নওগাঁর ৩৪ জন, পাবনার ৭৬ জন, কুষ্টিয়ার ১৩ জন, চুয়াডাঙ্গার দুজন এবং সিরাজগঞ্জ জেলার একজনসহ ৪২৫ জন। ২০ শয্যার আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ২০ জন।
এদের মধ্যে করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ১৮৯ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৭৪ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৬২ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন। এই এক দিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫০ জন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৬৪ জনের নমুনায়। একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ৪৬৩ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৪ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ২৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে প্রাণহানি হয়েছে ৫৫৩ জনের। এর মধ্যে করোনায় ১৭৯ জন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৩৩৬ জন। বাকি ৩৮ জন করোনা নেগেটিভ হয়েও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় মারা গেছেন। এর আগে গত জুনে হাসপাতালে মারা গেছেন ৪০৫ জন। এর মধ্যে করোনা প্রাণ নিয়েছে ১৮৯ জনের।
গত বছরের এপ্রিল থেকে এই বছরের জুন পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ হাজার ১৬১ জন রোগী। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন ৫ হাজার ৯২৭ জন। এই ১৪ মাসে মারা গেছেন ১ হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪৬ জনের। অন্যদের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নয়তো অন্যান্য শারীরিক জটিলতায়।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত