মাগুরার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের বড়শলই গ্রামের আব্বাসের স্ত্রী ফাতেমা (২৬) এর উপর তার স্বামী ও প্রতিবেশী ইমরোজ মেম্বার নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী ফাতেমা মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের সাইফার বিশ্বাসের মেয়ে, বছরখানেক আগে বড়শলই গ্রামের মৃত এদোন মোল্লার ছেলে বিপত্নীক আব্বাস মোল্লার সঙ্গে বিয়ে হয়। দুই সন্তানের জনক আব্বাসের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই সংসারে নানাবিধ জটিলতা শুরু হয়, কারনে অকারনে স্বামী কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের টাকার জন্য মারধরের শিকার হয়েছেন বলে তিনি জানান। ফাতেমার আত্মীয়-স্বজনরা জানান দরিদ্র ও এতিম ফাতেমা কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশী ইমরোজ মেম্বার এর পরামর্শে আব্বাস বিভিন্ন সময়ে শারীরিক নির্যাতন করেছেন, এমনকি সারা রাত উঠানে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। সবশেষে গত সপ্তাহে কিস্তির টাকা তোলার কথা বলে অভিযোগকারীর স্বামী আব্বাস প্রতারণামূলক ভাবে ডিভোর্স পেপারে সই করে নিয়েছেন বলে তিনি জানান। গত ২৩ জুলাই শুক্রবার আব্বাস, ইমরোজ মেম্বারসহ অন্যান্য প্রতিবেশীরা মিলে মেয়েটিকে মেরে জোরপূর্বক বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। রিপোর্ট সংগ্রহের সময়ে মেয়েটি মোহাম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে ইমরোজ মেম্বারকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান " অন্যের স্ত্রীকে আমি নির্যাতন করতে যাব কেন? একটি মহল আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। গ্রামের কোন কিছু হলেই আমাকে জড়িয়ে মামলা দেয়া হয়, এটা নতুন কিছু নয়।" ফাতেমার স্বামী আব্বাস জানান " বিয়ে করার পর থেকেই আমি অশান্তিতে আছি, আমি নিতান্তই গরীব মানুষ, দুই মেয়েকে মানুষ করার জন্য বুদ্ধি প্রতিবন্ধী জেনেও বিয়ে করেছিলাম, কিন্তু তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ।" আজ ২৯ শে জুলাই বৃহস্পতিবার অভিযোগকারী বাদী হয়ে নারী নির্যাতনের মামলা করলে ইমরোজ মেম্বার ও আব্বাস মোল্লাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। মাগুরা সদর থানার ওসি জয়নুল আবেদীন ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন আজ বিকালে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত