মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান
বান্দরবানের সেনাবাহিনী ও পুলিশ পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ৫৩ জন কেএনএফ সদস্যকে আটক করেছে। এছাড়া রুমা উপজেলা সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ার কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উদ্ধার করা হয়েছে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও কেএনএফ’র ব্যবহৃত সরঞ্জাম। সোমবার দুপুরে রুমা উপজেলার ব্যাথেল পাড়া সহ ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পাড়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অস্ত্র গোলাবারুদ সরঞ্জাম গুলো উদ্ধার করে।
অন্যদিকে রবিবার রাতে পুলিশ থানচি ও জেলা সদরের রেইচা ক্যাম্প থেকে তিনজন কেএনএফ সদস্য ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালককে আটক করেছে। আটকৃতদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম লালচিয়াম বম। অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুমা উপজেলার সেনাবাহিনীর জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন। পুলিশি অভিযানে আটকৃতরা হলেন ভানন্নূন ময় বম, জেমেনিউ বম ও আমে লানচেও বম। এদের বাড়ি রুমা উপজেলার সিমত্লাংপি পাড়ায়। গ্রেপ্তারকৃত গাড়ির চালক মো. কফিল উদ্দিন সাগর (২৮)। তার বাড়ি থানচিতে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানিয়েছেন রুমা হতে ৪৯ জন বান্দরবন থেকে তিনজন ওখানচি থেকে একজন কেএনএফ সদস্যকে আটক করে বান্দরবান জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে।
এদিকে রবিবার রাত থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে বান্দরবানে। জেলার রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় এই অভিযান চলছে। অভিযানে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ৪টি এপিসি।
এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উপজেলাগুলোতে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে সব ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এছাড়া রুমা উপজেলায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাজারগুলো। সেখানকার লোকজন এখন আতঙ্ক উৎকণ্ঠের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।