এম মহাসিন মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার, খাগড়াছড়ি।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা থেকে অপহৃত গাছ ব্যবসায়ী আমিনুল হক ভাসানী (৭০) কে মামলা রুজুর ১২ ঘন্টার মধ্যে দীঘিনালা উপজেলার জামতলীর দূর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় উপজেলার জামতলী এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. রাকিব হোসেন (২৮) ও মো. শহিদুল হোসেন (৪০) সহ ২জনকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস বিফিংকালে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, কাঠ ব্যবসায়ী ভিকটিম আমিনুল হক ভাসানী (৭০) নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা উপজেলার বাসিন্দা। কাঠ ক্রয়ের উদ্দেশ্য গত ২৯ মার্চ রাতে সড়ক পরিবহনে করে সকালে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় এসে নেমে কাঠ ব্যবসায়ীদের খোঁজখবর নেয়ার সময় অজ্ঞাতনামা ২জন ব্যক্তি কাঠের বাগান দেখানোর কথা বলে মোটরসাইকেলে করে জামতলীর বাঙালী পাড়া কবরস্থানের পশ্চিমে পুরাতন আর্মি ক্যাম্পের টিলায় বর্তমান মোফাজ্জলের টিলাস্থ সেগুন বাগানে নিয়ে যায়। এরপর আরও অজ্ঞাতনামা ৫জন মিলে আমিনুল হক ভাসানীকে মারধর করে এবং ভিকটিমের মেয়ের মোবাইলে অপহরণকারীরা ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
বিষয়টি ভিকটিমের মেয়ে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধরকে মুঠোফোনে অবগত করলে তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপার মুক্তা ধর সরেজমিনে দীঘিনালা থানায় এসে ভিকটিমকে উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
পরবর্তীতে পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের নের্তৃত্বে ও দিকনির্দেশনায় দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল হক সহ পুলিশের একাধিক চৌকস দল জামতলী এলাকার দূর্গম পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ভিকটিম আমিনুল হক ভাসানীকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি ঘটনার মূলহোতা মো. রাকিব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে রাকিবের স্বীকারোক্তি ও তথ্যমতে দ্বিতীয় আসামি মো. শহিদুল হোসেনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে আরও জানায়, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত