সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের ৫ম দিন সোমবার (২৬ জুলাই) গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কে তেমন কোনো যানবাহন ও মানুষের দেখা পাওয়া যায়নি।
তবে আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন ও হাটবাজারে মানুষের ভিড় বেড়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাইপাস, চন্দ্রা ত্রি-মোড়, সফিপুর ও মৌচাক পয়েন্টে পুলিশের তল্লাশিচৌকি থাকলেও মানুষ নানা অজুহাতে চলাফেরা করছেন।
সকাল থেকে বিকেল পয়ন্ত কালিয়াকৈর বাজার রোডে কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত মানুষ গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছেন। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, এমনকি অনেকের মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই।
একই অবস্থা দেখা গেছে সফিপুর বাজার, বলিয়াদী বাজার, টালাবহ বাজার,চান্দাবহ বাজারে। এছাড়া আঞ্চলিক সড়ক ও হাট-বাজারে লকডাউনের কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
কালিয়াকৈর বাসষ্ট্যান্ডে মনিরুজ্জামান বলেন, ফ্যামিলি নিয়ে আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছি, বাজার রোডে হিজলতলী এলাকার বছির উদ্দিন বলেন , বাড়িতে যে পরিমাণ বাজার ছিল, তা এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তাই আজ সবজি আর কিছু মাছ কিনতে এসেছি।’কালিয়াকৈর বাজারে ফজলু মিয়াকে মাস্ক পরেননি কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ভুলে গেছি। কালিয়াকৈরে পুলিশের বিষেশ অভিযানের পর পুলিশ চলে যাওয়ার পর পূণরায় দোকানের সাঁটার খুলে ব্যবসা পরিচালা করছে।
অপর দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যাত্রীবাহী পরিবহন না থাকলেও ট্রাক, পিকআপ ও অটোরিকশাগুলো মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট ফাঁকি দিয়ে নানা অজুহাত দেখিয়ে মানুষ ঢাকায় ঢোকার চেষ্টা করছেন। এ কারণে মানুষের চলাচলও বেড়ে গেছে। বেশির ভাগই বলছে চাকরি বাঁচাতে ঢাকা,গাজীপুর,কোনাবাড়ি ও সাভার তাঁদের যেতেই হবে। ঢাকা-টাংগাইল মহাসড়কে চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক, ছোট ছোট যানবাহনসহ মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে। তবে রিকশা চলাচল বন্ধ করতে প্রতিদিনই রিকশা আটক করা হচ্ছে। তারপরও অটো-রিক্সা -ইজিবাইক আর মোটরসাইকেল চলছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত