সবার জন্য প্রয়োজন, জন্ম ও মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন এ স্লোগানকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ক্যাম্পেইন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদ এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে।
মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেমেন্দ্র ত্রিপুরা’র সভাপতিত্বে এ ক্যাম্পেইনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা। ক্যাম্পেইনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডেজী চক্রবর্তী।
এসময় আলুটিলা হৃদয় মেম্বারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিন আক্তার, গকুলপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাসুদ পারভেজ,
ইউপি সদস্য অমৃত ত্রিপুরা ও মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ও জমি রেজিস্ট্রেশনসহ ১৮টির অধিক সেবা পেতে জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামুলক উল্লেখ করে খাগড়াছড়ি জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ ধারা ৮ (১) অনুযায়ী শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা তার পিতা-মাতা বা অভিভাবকের জন্য বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি ৪টি ক্ষেত্রে মৃত্যু সনদ বাধ্যতামুলক।
তিনি বলেন, শিশুর জন্মের পরপর টিকা কেন্দ্র অথবা ইউনিয়ন পরিষদের সেবা কেন্দ্রে ইনফরমেশন জানালে জন্ম নিবন্ধন সনদ ঘরে পৌঁছে যাবে। অনুষ্ঠানে শিশু জন্মের পর ১ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধন সনদ ও উক্ত উপহার প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে শিশুদের কোলে তুলে আদর করেন খাগড়াছড়ি জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা।
এরপরে ইউনিয়ন পরিষদ তহবিল হতে গরীব কৃষক ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্প্রে মেশিন ও স্কুল ব্যাগ বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নাজমুন আরা সুলতানা।