স্টাফ রির্পোটার, রাঙামাটি
পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি`র কেন্দ্রীয় কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
(১০ই ফেব্রুয়ারী) শনিবার সকালে শহরের বনরূপা চৌমুহনী চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়, আনন্দ শোভাযাত্রা পরবর্তী আলোচনা সভা শিল্পকলা একাডেমির হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে পিসিসিপি কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন কায়েশ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: হাবীব আজম এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ পিসিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব আলমগীর কবির, যুগ্ন সম্পাদক ও রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, আইন বিষয়ক সম্পাদক আলম খান, পিসিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ, রুহুল আমিন, আব্দুল কাইয়ুম, রাঙামাটি জেলা সিনিয়র সহ সভাপতি কাজী জালোয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আসাদুল্লাহ্ আসাদ, পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ তারেক,সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, বান্দরবান জেলা সভাপতি আসিফ ইকবাল, খাগড়াছড়ি যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, রাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক মোঃ শহিদুল ইসলাম, পৌর শাখা সভাপতি পারভেজ মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পাহাড়ের দুর্গম ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বসবাস করেও পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি জনগোষ্ঠী কোটা-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। পার্বত্য বাঙালিরা শিক্ষা, কর্মসংস্থান, আর্থিক ও সামাজিক অবস্থানের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে। পার্বত্যাঞ্চলের প্রেক্ষাপটে বাঙালিদের জন্য কোটা-সুবিধা অর্ধেক হওয়া উচিত। বাঙালিরা এখানে অবহেলিত, প্রান্তিক এবং দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। এজন্য পিছিয়ে পড়া ও রক্ষিত পাহাড়ি বাঙালিদেরও কোটার আওতায় আনতে হবে।
এসময় বক্তারা পিসিসিপি'র সাতদফা দাবি তুলে ধরেন,
১.সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (ভর্তির ক্ষেত্রে) পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা বরাদ্দ দিতে হবে, উপজাতি কোটা সংশোধন করে পার্বত্য কোটা চালু করে পাহাড়ি ও বাঙালি সকলকে সমান সুযোগ দিতে হবে।
২.তিন পার্বত্য জেলার স্থানীয় সরকার, হস্তান্তরিত বিভাগ সহ সকল নিয়োগ পাহাড়ি-বাঙালি জনসংখ্যা অনুপাতে হতে হবে।
৩.শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদসহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে জনসংখ্যা অনুপাতে বৃত্তি দিতে হবে।
৪.তিন পার্বত্য জেলায় অন্যান্য সম্প্রদায়ের ন্যায় বাঙালি শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ীভাবে ছাত্রাবাস নির্মাণ করতে হবে।
৫.উপজাতিরা সমগ্র বাংলাদেশে বসবাস, চাকরি, ব্যবসা ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ গ্রহণ করতে পারে; তেমনি তিন পার্বত্য জেলায় অন্য ৬১ জেলার নাগরিকদের পার্বত্য চট্টগ্রামে জমি ক্রয় করে,ভোটার হওয়ার মাধ্যমে বসবাসের সুযোগ দিতে হবে।
৬.তিন পার্বত্য জেলায় মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টেকনিক্যাল ট্রেনিং কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ২৬টি উপজেলায় সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা করে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো সমুন্নত করতে হবে।
৭.পার্বত্য চট্টগ্রামের কেন্দ্রবিন্দুতে বিমানবন্দর স্থাপন সহ তিন পার্বত্য জেলাকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনতে হবে।
উক্ত দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পিসিসিপি আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেন বক্তারা। আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত