মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন- বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যেকটা নাগরিকের দ্রুত বিচার পাওয়ার সাংবিধানিক অধিকার। দ্রুত বিচার পাওয়ার যেমন সাংবিধানিক অধিকার তেমনি দ্রুত বিচার প্রদান করার বিচারপতিদের নৈতিকতার কাজ। তাই বিচার থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে নজর রাখা আহ্বান জানানো হয়।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি)) বেলা একটায় বান্দরবান জেলা দায়রা ও জজ আদালত চত্ত্বরে ন্যায়কুঞ্জ বিশ্রামাগার উদ্বোধকালে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে বিচার চাওয়া-পাওয়া আশায় আদালতে ছুটে আসেন সমশ্রেণী মানুষ। যার ফলে সাধারণ মানুষ ও বিচারপতিদের ক্লান্তিদূর করতে দেশের প্রতিটি জেলায় আদালতের প্রাঙ্গনে ন্যায়কুঞ্জ নামে বিশ্রামাগারটি স্থাপন করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি বলেন, শুধু পার্বত্য জেলা বান্দরবানে নয় এই অভিযোগটি সারাদেশে কিছু না কিছু স্থানে। তারপরও সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যে বহুতল বিশিষ্ট ভবন সিজেন বোর্ড বিভিন্ন স্থানে তৈরী হয়েছে সেসব ভবনে এনকোয়ারি হচ্ছে। আশা করি আগামী দিনগুলোতে সারাদেশে যখন ভবন সম্পন্ন হয়ে যাবে তখন আর বিচারকদের জটিলতা হবে নাহ। আগামীতে বিচারকের সংকট অচিরেই কেটে যাবে বলে আশা করছি।
এসময় গণপূর্ত অধিদপ্তর অর্থায়নে সাড়ে ৫১ লক্ষ টাকা ব্যায়ের বিচারপ্রার্থী- বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন নির্মাণের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
অনুষ্ঠানে জেলা দায়রা ও জজ আদালতে বিচারক ফজলে এলাহী ভূইয়া, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, নারীও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এবং শিশু আদালতের বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা,চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, গণপূর্ত অধিদফতর বিভাগে প্রকৌশলী ফয়েজুর রহমানসহ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত