খাগড়াছড়ির উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় বিএনপি-জামাত অপশক্তিকে মোকাবেলার আহ্বান জানিয়ে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারাদেশে নির্বাচন নিয়ে প্রতিযোগিতা রয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের কোনো ষড়যন্ত্রই এ নির্বাচনে আঘাত করতে পারবে না। জনগণই মোকাবিলা করবে এবং জনগণই প্রতিরোধ করবে।
বাংলাদেশের মানুষের কাছে হরতাল-অবরোধ অতীত হয়েে গেছে। মানুষ এখন উন্নয়নমুখী। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ৭ জানুয়ারী দেশে ব্যালট বিপ্লব হবে। সব মানুষের অংশগ্রহনে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুন্দ নির্বাচন হবে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) মাটিরাঙ্গার সাপমারা, গোমতি, শান্তিপুর, বেলছড়ি, খেদাছড়া ও মাটিরাঙ্গায় জনসংযোগ ও একাধিক পথসভায় বক্তব্য প্রদানকালে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারা দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে পাহাড়ের দৃশ্যপট বদলে গেছে। সড়ক যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা-স্বাস্থ্য সব সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, খাগাড়ছড়িতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ করেছি ও শিক্ষক প্রশিক্ষন কেন্দ্র করেছি। পর্যটন খাতের উন্নয়ন করা হয়েছে।
২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে দেশে উন্নয়ননের নামে লুটপাট হয়েছে। উন্নয়নের নামে নেতাদের পকেট ভারী হয়েছে। তাই নির্বাচন আসলে তাদের হাঁটু কাপে। বিএনপিকে উদ্দ্যেশ্য করে তিনি বলেন, তোমরা ভোট কেন্দ্র যাবেনা এটা তোমাদের ব্যাপার তবে কাউকে কেন্দ্রে যেতে বাঁধা দেয়ার অধিকার তোমাদের নেই। ভোট কেন্দ্র যেতে বাঁধা দিলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বসে থাকবেনা বলেও হুশিয়ারী উচ্চারন করেন তিনি।
পথসভায় খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, এড. আশুতোষ চাকমা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এম এ জব্বার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দিদারুল আলম, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হুমায়ুন মোর্শেদ খান, মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা এবং মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হারুনুর রশীদ ফরাজী, বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রহমত উল্যাহ ও গোমতি ইউনিয়ন আওয়ামীলেিগর সভাপতি মো. মনির হোসেন প্রমুখ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত