হ্যাপী করিম স্টাফ রিপোর্টার (মহেশখালী)
মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত কার্যালয়ে দুষ্কৃতকারীরা রাতে তাণ্ডব চালিয়ে মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, আলমারির তালা ভেঙে কাগজপত্র ও বিভিন্ন মালামাল লুট করা হয়েছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সরকার। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই।
১০ শে ডিসেম্বর সকালে সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৮নং কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনের কক্ষের দরজা ভেঙে আসবাবপত্র ও প্রয়োনীয় মালামাল'সহ সামনে ঘেরার গ্রিল কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন রাতের আঁধারে ভবনের বিভিন্ন সামগ্রী লুটপাট হচ্ছে। বর্তমানে ভবনটি মাদক সেবনকারীদের আস্তানায় পরিনত হয়েছে।
গত ২০০৫ সালে ৩ তলা বিশিষ্ট পরিষদ ভবনটি নির্মাণ করা হয় সরকারি এ পরিষদ ভবনটি। ২২ শে সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনের পূর্বে ভবনের রং, আসবাবপত্র ক্রয় ও আনুষ্ঠানিক ২২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পরিপূর্ণ নির্মান করে এ পরিষদ ভবনটিতে বর্তমান নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বার সদস্য'রা পরিষদের কার্যাক্রম না করায় গত কয়েক বছর পরিত্যক্ত এ ভবনের গত কয়েক দিন ধরে চলছে মালামাল লুটপাট, পরিত্যক্ত ভবনটির প্রতিটি রুমের দরজা খুলা, আলমারি ভাঙা ও গ্রিল খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করেন, পরিষদের কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার সুযোগে এমনটি হয়েছে।
একারাম মাঝি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ভবনের প্রয়োজনীয় মালামাল বহু আগেই লুটপাট হয়েছে ওই পরিত্যক্ত ভবনের কারণে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। রাতে যুবকের মাদকের আড্ডা বসে।
চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামাল বলেন, পরিষদের সরকারি মালামাল লুটে নেওয়ার বিষয়টি মেনে নেওয়া যায় না। আমি ২০২১ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একদিনও ঐ ভবনে পরিষদ করেনি, চুুরি বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে মহেশখালী প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত