আরিফুর রহমান স্বপন, কুমিল্লা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সহ-সভাপতি ও বর্তমান সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে এবার ৬ষ্ঠবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর ৪ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই শেষে তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মো. তাজুল ইসলাম। এরপর একাধারে ৬ষ্ঠবার দলীয় মনোনয়ন পান তিনি। এরমধ্যে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর কাছে তিনি পারাজিত হলেও এর আগে ও পরে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের দ্বাদশ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মো. তাজুল ইসলাম আবারও নির্বাচিত হবেন বলে জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা। তারা মনে করেন মো. তাজুল ইসলামের বিপরীতে এ আসনে শক্তিশালী কোন প্রার্থী নেই। ১৯৯৬ সালে একবার ও ২০০৮ সাল থেকে তিনবারসহ আসনে চারবারের সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলাম। তিনি ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় স্থানীর সরকার মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনটি তিনি আওয়ামী লীগের দূর্গ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। এছাড়াও এ আসনে তিনি ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। লাকসামকে স্মার্ট সিটিতে রূপান্তরিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। নিজের দলকে সুসংগঠিত রাখায় এ আসনে দলের ভিতর কোন বিভেদ নেই। আওয়ামী লীগ ও দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাজুল ইসলামের প্রতি একট্টা।
এদিকে, এলাকায় সন্ত্রাস চাঁদাবাজি ও মাদক নির্মূলে তিনি প্রশাসনসহ দলের নেতাকর্মীদের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে কঠোর নির্দেশ দিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। এলাকায় স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার নতুন ভবন, রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ ও নির্মান, হাতিরঝিলের আদলে আর্চগার্ড ব্রীজ নির্মানসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এ আসনকে বদলে দিয়েছেন তিনি।
এ অঞ্চলের উন্নয়নের রূপকার হিসেবে মো. তাজুল ইসলামকে আখ্যা দিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ বলছেন, উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আগামী নির্বাচনে তারা আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে আবারও নির্বাচিত করবেন। তবে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে রয়েছেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন প্রার্থী ড. সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ প্রার্থী মীর মো. আবু বাকার, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, এবারের নির্বাচন হবে চ্যালেঞ্জিং। কারণ রাজনীতি পথভ্রষ্ট বিএনপি-জামায়াত ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিতে পারে। দেশের উন্নয়ন বিরোধী ও আগুন সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করে আমাদেরকে ভোটের মাঠে সোচ্চার থাকতে হবে। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরী আছে। তবে ভোটাররা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেই দিকে নজর দিতে হবে বেশি। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জানান দলীয় নেতাকর্মীরা।
এছাড়াও চ্যালেঞ্জিং এই নির্বাচনে সকল প্রার্থীকে একে অপরের প্রতি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করারও আহবান জানান তারা।