হাবিবুর রহমান, লক্ষীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষীপুরের কমলনগরে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক ঘর থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
বুধবার উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের বালুরমাঠ এলাকায় এঘটনা ঘটে,সে ওই এলাকার আবুল কালামের মেয়ে এবং ব্রিকফিল্ড শ্রমিক আকবর হোসেনের স্ত্রী। এঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টিহয়।
স্থানীয়সূত্র ও গৃহবধূর শ্বাশুড়ী নিরুতাজ বেগম জানান, বিগত ২/৩মাস পূর্বে আমার ছেলে আকবার হোসেন একই এলাকার আবুল কালামের মেয়ে রুবি বেগমকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তারা দুজনে সুন্দর ও সুখের সংসার করে আসছে।
বর্তমানে আমি ও আমার পুত্রবধূ বাড়িতে আছি, আমার ছেলে ইটভাটায় কাজ করছে। হঠাৎ স্থানীয় চরকাদিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও আ.লীগনেতা খোকনপাটওয়ারী এবং তার স্ত্রী তাদের লোকজন নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় আমার বাড়ির উঠানে আসে।এসময় ওই মেম্বার আমার বউয়ের নাম ধরে ডাকতে থাকে। এক পর্যায় সে ঘরের সিঁড়ির উপর আসলে মেম্বার আমার পুত্র বউয়ের চুলের মুঠি ধরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। এসময় আমি ও আমার মেয়ে বাঁধা দিলে আমাদের উপর তারা আক্রমণ করে চড় থাপ্পর মারিয়া সন্ত্রাসী কায়দায় পুত্রবধূকে জোরকরে তুলে নিয়ে যায়।
গৃহবধূ রুবি বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে আমি স্বামীর বাড়িতে। সকালে হঠাৎ আমাদের বাড়ির উঠানে খোকন মেম্বার লোকজন নিয়ে উপস্থিত হয়। মেম্বার আমার নাম ধরে ডাকলে আমি আমার স্বামীর ঘরের সিঁড়িতে এসে দাঁড়াই। এসময় মেম্বার আমার মাথার চুল ধরে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়।
স্থানীয় শাহজাহান বেপারী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, একজনের গৃহবধূকে দিনদুপুরে জোরকরে এভাবে ঘর থেকে শ্লীলতাহানি করে নিয়ে যাওয়া এটা নজিরবিহীন। কিসের বিনিময়ে খোকন পাটওয়ারী এমন কাজ করেছে তাহা আমরা জানি না।
অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ইউপি সদস্য ও আ.লীগ নেতা মো. খোকন পাটওয়ারী জানান, আমি এবিষয়ে কিছুই জানি না। এমন কথা আমি এখনই শুনেছি।
কমলনগর থানা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, এব্যাপারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দ্রুত খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত