• সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
লামায় ১৫ দিনের ব্যবধানে ফের ২০ শ্রমিককে অপহরণ বান্দরবানে মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সৎ বাবাসহ দুজনের যাবজ্জীবন বান্দরবানে সীমান্তে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার অসহায় মানুষের প্রতি করুণা নয়, তাদের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব – পলাশ ধর লামায় শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন রামগড়ে যুব রেড ক্রিসেন্টের সমন্বয় সভা অনু্ষ্ঠিত  রামগড় ৪৩ বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গাঁজাসহ আটক ১ বান্দরবানের সেনা সহায়তায় নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছে কুকি চিনের তান্ডবে ঘরছাড়া গ্রামবাসীরা মানিকছড়িতে কার্প জাতীয় মাছের নার্সারি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কাপ্তাইয়ে ক্রিকেট ট্যালেন্ট হান্ট দ্বিতীয় পর্ব প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় সন্মানে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহানের চিরবিদায় রামগড় ৪৩ বিজিবির অভিযানে  ভারতীয় সিগারেটের ফিল্টার জব্দ

চিপসের প্যাকেটে ফ্রি বেলুন, গলায় আটকে শিশুর মৃত্যু

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বান্দরবান ব্যুরো প্রধানঃ / ২৪২ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, বান্দরবান

চিপসের প্যাকেটে থাকা ফ্রি বেলুন ফোলাতে গিয়ে গলায় আটকে মোঃ আরফাত নামে ২ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাত ৬টায় শিশুটিকে তার স্বজনরা লামা সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত শিশু মোঃ আরফাত (২) লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বটতলী গ্রামের মোঃ ইসমাইল ও আছমা বেগমের ছেলে।

লামা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ রায়হান জান্নাত জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও আমরা ইসিজি করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। শ্বাসনালীতে বেুলন আটকে যাওয়ায় শ্বাসবন্ধ হয়ে শিশুটি মারা যায় বলে ধারনা করা হচ্ছে।

শিশুটির মা আছমা বেগম বলেন, বাড়ির পাশে দোকান আছে। বিকেল ৪টায় দিকে খেলার ছলে শিশুটি দোকানে গেলে তাকে চিপসের প্যাকেট কিনে দিই। চিপসের প্যাকেটে বেলুন ছিল। সেই বেলুন ফোলাতে গেলে গলায় আটকে যায়। বেলুন আটকে যখন বাচ্চা কষ্ট পাচ্ছিল, তখন অনেক চেষ্টা করে বেলুন বের করতে পারিনাই। পরে পানি খাওয়ানোর চেষ্টা করি। পানি খাওয়ানোর পরে তার শ্বাস আরো বন্ধ হয়ে যায়। লামা হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার বলেন সে মারা গেছে। বটতলী গ্রামটি লামা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এদিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হয় লামা থানা পুলিশ। থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শিশুটিকে প্রাথমিকভাবে সুরতহাল করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ নিয়ে যেতে শিশুটির বাবা-মা অনুরোধ করেছে। এই বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দিবে।

গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। সে বিষয়ে পুলিশ সিদ্ধান্ত দিবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ