• রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
জীবনে পরিশ্রম না করলে সফলতা অর্জন করা যায় না -অংসুই প্রু মারমা বান্দরবানে সাধারণ ছাত্র সমাজের সংবাদ সম্মেলন সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ চার যুবক গ্রেফতার বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতের পতাকাতলে শামিল হোন- অধ্যাপক আহসান উল্লাহ দীঘিনালাতে মেধাবৃত্তি শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও গুণীজন সংবর্ধনা দেওয়া হয় চন্দ্রঘোনায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত গুইমারায় অগ্নি দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদল কর্মী ওসমানের পাশে জামায়াত সাংবাদিক সহ সকল পেশার মানুষের সহযোগিতা চাইলেন রাজস্থলী ও চন্দ্রঘোনা থানার নতুন ওসি তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে ৩ জন নতুন চেয়ারম্যান ৩১ দফা নিয়ে মহালছড়িতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আগমন নেত্রকোনায় মানবকল্যাণ কামনা করে সূর্য পূজা উদযাপন রামগড়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বান্দরবানে সেই ৩২ পরিবার ফিরেছে এলাকায়

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, (বান্দরবান) / ১৬৫ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, (বান্দরবান)

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ’র সাথে শান্তি আলোচনা ও বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতার পর এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। রোয়াংছড়ি ও থানচিতে আজ বিকেলে ৩২ টি পরিবারের ৯৫ জন সদস্য তাদের নিজ পাড়ায় ফিরে এসেছে। এসব পরিবারের গুলোকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নানা সহায়ত দেওয়া হয়েছে। প্রায় ৯ মাস আগে এসব পরিবারগুলো আতঙ্কে নিজ এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নেয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছে রোয়াংছড়ি উপজেলার পাইক্ষ্যং পাড়া, খানতাম পাড়া, ক্যপলং পাড়া সহ আশেপাশের এলাকা থেকে ২১ বম পরিবার এলাকায় ফিরে আসে। অন্যদিকে থামচি উপজেলার প্রাতা পাড়ায় ফিরে আসে ১১ পরিবার। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেহ্লাং, মারমা জানিয়েছেন কেএনএফ’র সাথে শান্তি আলোচনা পর পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। তারা এখন এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে। পরিস্থিতির স্বাভাবিক হওয়ায় আশেপাশের পাড়া থেকে পালিয়ে যাওয়া পরিবারগুলো এখন নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। তাদেরকে নানা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এলাকায় বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে শুরু করেছে।

রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরী জানিয়েছেন এর আগেও আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোকে প্রশাসন থেকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। নতুন করে যারা এসেছে তারা যদি সহযোগিতা চায় প্রশাসন থেকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। উল্লেখ্য গত বছরের অক্টোবরে পাহাড়ে নতুন গজিয়ে উঠা সশস্ত্র সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট কেএনএফ তৎপরতা শুরু করলে বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়।

এ সংগঠনটির সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে এ পর্যন্ত পাঁচসেনা সদস্য সহ ২৬ জন নিহত হয়। তবে পরিস্থিতি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে কেএনএফ’র মধ্যে আলোচনা ও কয়েকটি বিষয়ের সমঝোতা হওয়ার পর এলাকার পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ