মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, (বান্দরবান)
পাহাড়ের শান্তি ফিরাতে একমাত্র পথ সরকারে প্রতি আত্মসম্মান দেখিয়ে শান্তির চুক্তি বাস্তবায়ন করা। অস্ত্র দেখিয়ে নয় কলমের লিখনি মাধ্যমে পাহাড়ের শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। যারা আগে বাস্তবায়ন করেছিল তারা অগনতান্ত্রিকভাবে চুক্তি করেছিল। তাছাড়া শান্তি চুক্তির বাস্তবায়নের জন্য সন্তু লারমা একা নয় এই চুক্তির জন্য হাজারো জুম্ম জাতির নারী- পুরুষের রক্ত দিয়ে শান্তির চুক্তি করেছিল। যার ফলাফল এখন পাহাড়ের অশান্তি, চাদাঁবাজি, খুন, হত্যা, অপহরণ ইত্যাদি । আগামীতে যাতে পাহাড়ের অশান্তি সৃষ্টি না হয় তার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। তাই পাহাড়ের উন্নয়ন নয় পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবী জানান।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে হিলভিউ কনভেনশন হলে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফের ৬ষ্ট তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
এর আগে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক অস্থায়ী কার্যালয় থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য র্যালী। শহরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে হিলভিউ কনভেনশন সেন্টারে গিয়ে শেষ হয়। এসময় অংশ নেন অসংখ্য নারী- পুরুষ। পরে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা সভা।
অনুষ্ঠানে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক জেলা সভাপতি মংপু মারমা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অমর জ্যেতি চাকমা।
বক্তারা বলেন, তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটিতে এখন আর জুম্ম জাতির অস্তিত্ব নেই। আছে শুধু বান্দরবান জেলাতে। এই জেলায় ১১টি জাতিসত্ত্বা অস্তিত্ব থাকলেও সুযোগ- সুবিধাসহ সবকিছু বঞ্চিত রয়েছে । তাছাড়া পার্বত্য এলাকায় দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব পাওয়ার পরও জুম্ম জাতি এখনো অবহেলিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িত। তাই পাহাড়ের শান্তি ফিরিয়ে আনতে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক পতাকার তলে আসার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট গণতান্ত্রিকে কেন্দ্রীয় সদস্য আপ্রু মং মারমা, জেলা সাধারণ সম্পাদক উবামং মারমা, সাংগঠনিক সম্পাদক রাম তন সাং বম(মালেক), পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) কেন্দ্রীয় সভাপতি দীপন চাকমা, জেলা সভাপতি জয় বাবু তংচঙ্গ্যাসহ কারবারী ও ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত