সাইফুর রহমান পারভেজ,গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিনিধি
একদিকে বর্তমান সরকারের হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রস্তাবিত দৌলতদিয়া টু পাটুরিয়া ফেরীঘাট সহ নদী শাসন প্রকল্পের কাজ, অন্যদিকে অনন্ত ৫০০টি পরিবারের বসবাস, সেই সাথে শত বিঘা তিন ফসলি জমি যেখানে কৃষকেরা চাষ করেছে বাদাম,ভুট্টা সহ নানা ফসল। এই পুরো পরিকল্পনা ধুলিস্যাৎ হতে চলছে একটি প্রভাবশালী মহলের নির্বিচারে রাজবাড়ী জেলার দৌলতদিয়ার ৭নং ফেরীঘাট সংলগ্ন,পদ্মা নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করার ফলে। এই চক্রটি প্রতিদিন ৩টি ভেকু ও ১০০ টিরও বেশি ড্রাম ট্রাক দিয়ে দিবারাত্রি শত শত ট্রাক বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে জেলার বিভিন্ন স্থানে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে অত্র এলাকার জনজীবন। কারণ বালুবাহী ট্রাকের উচ্চ শব্দে একদিকে হচ্ছে শব্দ দুষণ, অন্যদিকে অদক্ষ চালকের বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চালানোর কারণে প্রানের সংশয় বেড়েছে অত্র এলাকার কোমল মতি স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। এতে অবশ্য কোন প্রকার মাথা ব্যাথা নেই গোয়ালন্দ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার। কারণ ইতিমধ্যে একাধিক জাতীয় প্রত্রিকায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও তিনি প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে তিনি কিছুই যে করেনি, বিষয়টা এমনটা নয়,একাধিক গণমাধ্যমে’কে তিনি দিয়েছেন ব্যবস্থা গ্রহন করার সুদীর্ঘ করার আশ্বাস। যা বাস্তবে ঘটেনি।
তবে ভিন্না কথা বলছেন এলাবাসী,তারা জনান বালু উত্তোলনকারী চক্রের সাথে গোয়ালন্দ উপজেলার একাধিক ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রয়েছে। যার কারণে এই চক্রটি এতো বড় ধ্বংস চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তারপরও নিরব ভুমিকায় রয়েছে প্রশাসন।
তবে এমন অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন। পরে প্রতিবেদক’কে মুঠোফোনে জানান,নদীর তীর থেকে বালু উত্তোলন করার কোন সুযোগ নাই, যদি কেউ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার এমন দায়সারা আশ্বাস বিশ্বাস করতে নারাজ ভুক্তভোগী এলাকা বাসী। তারা চায় বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।