• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
খাগড়াছড়ির দীঘিনালার লারমা স্কয়ার দুই পক্ষের বিরোধে বাজারে আগুন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বরকল উপজেলায় কমিটি ঘোষণা রামগড়ে বিজিবি ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ভারতীয় পণ্যসহ আটক ২ লক্ষ্মীছড়ি কলেজে শিক্ষক পরিষদ গঠন সেনাবাহিনী ও বিদ্যানন্দের উদ্যোগে “এক টাকায় বাজার”  প্রায় ২ মাস বন্ধ থাকার পর ফের চালু হয়েছে কেপিএম মিল গুইমারা উপজেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠিত খাগড়াছড়িতে বই পড়া কর্মসূচি-২৪ সম্পন্ন রাঙামাটিতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি শেরপুরে হামলা ভাংচুর লুটপাট ও প্রাণনাশের হুমকির বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন খাগড়াছড়িতে গণপিটুনিতে যুবক নিহত-পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি এলাকাবাসীর গোয়ালন্দে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন 

শুকুনের দৃষ্টি পড়েছে কৃষকের জমিতে

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান, (বান্দরবান) / ২০৮ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ব্যুরো প্রধান,(বান্দরবান)

বান্দরবানের লামায় প্রকাশ্যে আব্দুল কুদ্দুস নামে এক কৃষকের চাষের জমি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে জবরদখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। নিরুপায় হয়ে অসহায় কৃষক লামা থানার অভিযোগ করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ দখলদার ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের সরিয়ে দিয়ে কৃষকের বসতবাড়ি ও চাষের জমি বেদখলের হাত থেকে রক্ষা করে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০টায় লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড ঠান্ডাঝিরি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। কৃষক আব্দুল কুদ্দুস পানিস্যাবিল এলাকার মৃত খুইল্যা মিয়ার ছেলে।

অভিযোগ ও আব্দুল কুদ্দুসের ভাষ্যমতে জানা যায়, অভিযোগকারী বিগত ১৫/১৬ বছর পূর্বে জনৈক ক্যথোয়াই কারবারীর নামীয় ২৯৯ নং ছোটবমু মৌজার ২৯নং হোল্ডিংয়ের ওয়ারিশ সন্তানদের প্রাপ্য অংশ হতে ৩.৪০ একর জমি দলিল মূলে ক্রয় করার পর হতে অদ্যবদি খামারবাড়ি স্থাপন পূর্বক ক্ষেত খামার করে ভোগদখলে আছি। গতবছর নগদ টাকার প্রয়োজনে ১নং বিবাদী পার্শ্ববর্তী মিজান মেম্বারকে ৮.৫০ কানি জায়গা লাগিয়াত করেন। ১নং বিবাদী উক্ত জায়গা লাগিয়াত নেওয়ার পর উক্ত হোল্ডিং এর ওয়ারিশ হতে আরও কিছু জমি ক্রয় করেন। ক্রয়ের পরে মিজান মেম্বার আমার লাগিয়াতকৃত জমি আত্মসাৎ করার লক্ষে পায়তারা শুরু করে। বিষয়টি আমি বুঝতে পেরে লাগিয়াতকৃত জমি মিজান মেম্বার থেকে ফেরত নিয়ে এবছর পুনরায় চাষাবাদ করি।

তারই সূত্র ধরে বুধবার সকাল ১০টায় বমু পানিস্যাবিল এলাকার শামসুল আলমের ছেলে মিজান মেম্বার গং প্রায় ১৮/২০ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার ভোগদখলীয় ৮.৫০ কানি জায়গায় সবজি ক্ষেত ও খামার ভাংচুর করে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে আমার পাড়া প্রতিবেশী মিজান মেম্বারের সন্ত্রাসীদের ভয়ে যেতে দেননি। কারন ইতিপূর্বে মিজান মেম্বার আমাকে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য প্রাননাশের হুমকি দেন। এমতাবস্থায় বিবাদী কর্তৃক আমার ভূমি ও খামারবাড়ি ভেঙ্গে জবরদখল ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। উপায়ন্ত না দেখিয়া জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিয়া ন্যায় বিচারের আশায় ৬ জনের নাম উল্লেখ ও ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

লামা থানা পুলিশের এএসআই মোঃ তৈয়ব বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থল দুর্গম এলাকা। ওখানে গিয়ে মিজান মেম্বারের পক্ষের ১০/১২ জন লেবার পাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তাদের নাম ঠিকানা লিখে ঘটনাস্থল থেকে সরে যেতে বলি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ