পটিয়ায় হাইদগাঁও কোরবানির ভ্রাম্যমান পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম হয়ে উঠেছে। প্রতিবছর কোরবানির ঈদের পশুর হাটের জন্য উত্তর হাইদগাঁও যেন ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে। এখানে দিন-রাত সমানতালে চলছে গরু, মহিষ ও ছাগল কেনা বেচা। ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ৩/৪ লক্ষ টাকা দামের গরু মহিষও রয়েছে এসব ভ্রাম্যমান পশুর হাটে।
করোনাকালিন মানুষ ঝামেলা ও লোকসমাগমকৃত পশুর হাট এড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মাথায় রেখে হাইদগাঁও এলাকার এসব পশুর হাটে ছুটে যাচ্ছে। বিগত ৩০ বছর ধরে হাইদগাঁও এলাকা কোরবানির পশুর হাটের জন্য বিখ্যাত। এখানে সুলভ মূল্যের কারণে সব ধরণের ক্রেতা-বিক্রেতারা প্রতিনিয়ত এখান থেকে গরু মহিষ ক্রয় করছে। ভ্রাম্যমান পশুর হাট ছাড়াও সারাবছর ব্যাপী এখানে চলে পশুর হাট।
স্থানীয় পশু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মহিউদ্দন জানান, আমরা কয়েকজন ব্যবসায়ী কোরবানির ঈদ ছাড়াও সারা বছরজুড়ে গরু মহিষ বিক্রি করে থাকি। এখানে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি ছাড়াও প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে গরু মহিষের মাংস সাপ্লাই দেয়া হয়।
পটিয়া উপজেলার উত্তর হাইদগাঁও এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অলি গলিতে গড়ে উঠেছে গরু, মহিষ ও ছাগলের ভ্রাম্যমান হাট। উত্তর বঙ্গের রাজশাহী, খুলনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, রংপুর, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু মহিষ ও ছাগল এনে কোরবানির ৬ মাস পূর্বে থেকে হাইদগাঁও এলাকার মৌসুমী ব্যবসায়ী ও খামারীরা প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা করেন। চলতি মাসে উত্তর হাইদগাঁও এলাকায় পাইকার ও খুচরা ক্রেতাদের কাছে প্রায় ১ হাজারের অধিক গরু মহিষ বিক্রি হয়েছে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ জানান।
জানতে চাইলে উত্তর হাইদগাঁও এলাকার বিসমিল্লাহ্ খামারীর স্বত্বাধীকারী ও পশু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও আবদুল গফুর মেম্বার জানান, প্রতিবছর কোরবানির ঈদে উত্তর হাইদগাঁও এলাকায় জমজমাট ভ্রাম্যমান পশুর হাট বসে। পটিয়ার মহাসড়ক ডাকবাংলোর মোড়, থানার মোড়, মুন্সেফবাজার, শাহ্চান্দ আউলিয়া মাজার গেইট থেকে রিক্সা, মোটর সাইকেল সিএনজি অটোরিক্সাসহ যেকোন পরিবহনে করে উত্তর হাইদগাঁও এলাকায় আসা যাওয়া করা যায়। পরিবহন সুবিধা থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারা সহজে এখানে এসে তাদের পছন্দের গরু মহিষ ও ছাগল সুলভমূল্যে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত