পার্বত্য খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার পাহাড়ী জনপদ ব্যাঙমারায় জমে উঠেছে শারদীয় দুর্গোৎসব। প্রথমবারের মতো আয়োজন করা শারদীয় দুর্গোৎসবের মহানবমীতে সোমবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পূজা মন্ডপে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
মহানবমীর দিন সোমবার সন্ধ্যায় পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখেন এবং খোজ খবর নেন সহকারী পুলিশ সুপার (মাটিরাঙ্গা সার্কেল) আবু জাফর মো. ছালেহ, ট্রাফিক ইনস্পেক্টর মো. জয়নাল আবেদীন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক আহম্মেদ, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন, মাটিরাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান ভুইয়া ও সহ-সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জয়নাল প্রমুখ।
সকাল থেকেই বিহিতপূজার মাধ্যমে শুরু হয়েছে মহানবমী পূজা। মহা নবমীর দিনে যজ্ঞের মাধ্যমে দেবীদুর্গার কাছে আহুতি দেওয়া হয়। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। সনাতন ধর্মমতে, নবমীর পুণ্য তিথিতে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে বিশ্বে শুভ শক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন দেবীদুর্গা। মন্ডপে দুর্গাদেবীর মহীস্বাশুর বদ করার কাহিনী তুলে ধরেন পুরোহিত।
দিনভর পুজা-অর্চনার পাশাপাশি রাতে ব্যাঙমারা পুজা মন্ডপে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
আইন শৃংখলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি সদস্যদের কড়া নজরদারীর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত পূজা মন্ডপ গুলোতে আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা।
ব্যাঙমারা পুজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে সহকারী পুলিশ সুপার (মাটিরাঙ্গা সার্কেল) আবু জাফর মো. ছালেহ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আবহমানকাল থেকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ। তাই উৎসব গুলোতে সকল ধর্মের লোকজনের উপস্থিতি সার্বজনীন হয়ে ওঠে।
ত্রিপুরা জনগোষ্ঠি অধ্যুষিত মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ব্যাঙমারায় আয়োজিত এ দুর্গোৎসব সকলে মনে রাখবে বলে মন্তব্য করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক আহম্মেদ।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এই আবেগ ও আনন্দঘন পর্ব শারদীয় দুর্গোৎসবের।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত