সাইফুর রহমান পারভেজ, গোয়ালন্দ প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরীঘাট। দক্ষিণ বঙ্গের ২১টি জেলার মানুষ এই ফেরীঘাট ব্যবহার করে চলাচল করে। এখানে রাতের অন্ধকারে দীর্ঘদিন ধরে ১২ থেকে ১৫ জনের একটি তিন তাস নামধারী ডাকাত চক্র সক্রিয় রয়েছে। নৌপুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের এসপি আশিক সাঈদ এর দিক নির্দেশনায়, দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাড়ি’র অফিসার ইনচার্জ জেএম সিরাজুল কবির, বারবার এই চক্রটি’কে গ্রেপ্তার করে, জেলে হাজতে পাঠালেও,প্রতিবার জামিনে বের হয়ে এসে,ওই চক্রটি আবার শুরু করে ফেরীতে তিন তাস খেলার নামে ডাকাতি। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ই অক্টোবর গভীর রাতে এই চক্রের চার সদস্য’কে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায় নৌপুলিশ। কিন্তু ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় ওই চক্রের মুলহোতা আকাশ সহ
আরও বেশ কয়েকজন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলে নড়েচড়ে নৌপুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। ওই ঘটনার মাত্র ৫দিনের মাথায় অর্থাৎ শুক্রবার ২০শে অক্টোবর রাতে দৌলতদিয়া ফেরীঘাট হতে ওই ডাকত চক্রের মুলহোতা আকাশ (২৫)’কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় নৌপুলিশের সদস্যরা। সে মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার তেঘড়ী গ্রামের মৃত হাসমত আলি ছেলে।
এবিষয়ে নৌপুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের এসপি আশিক সাঈদ জানান,ওই চক্রটি নিয়মিত বাসের যাত্রী ও চালক’কে বেশি টাকার জেতার কথা বলে জুয়া খেলায় উৎসাহিত করে। পরে লোকজন তাদের ডাকে সারা দিলে ঝটপট টাকা পয়সা, মোবাইল,সোনার গহনা ছিনিয়ে নিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকা পালিয়ে যায়। এনিয়ে এই চক্রের ৫জন সদস্য’কে গ্রেপ্তার করা হলো। বাকীদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। আকাশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি’র মামলা রয়েছে