মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার চরকিশোরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের ৩০০ মিটার দূরের রমজানবেগের কাছে নদীর তীরে ভেসে উঠা নিখোঁজ সুমনা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোস্তফা মহসিন মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া নারীর নাম সুমনা আক্তার (২৮)।এ ঘটনায়
সুমনার দুই মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (৩) ও জান্নাতুল মাওয়াসহ (৬) নিখোঁজ আছে দক্ষিণ ফুলদী গ্রামের মারওয়া (৬), সাব্বির হোসেন (৪২) ও তাঁর ছেলে ইমাত (২)। তাঁদের উদ্ধারে কাজ চলছে। তবে এখনো দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলার শনাক্ত এবং ঘাতক বাল্কহেট আটক করতে পারেনি।মেঘনার তলদেশে যাওয়া ডুবুরিদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বালু কাটার কারণে নদীর তলদেশ ক্ষতবিক্ষত। পানির গভীরতা ৭০ ফুট থেকে ১২০ ফুট পর্যন্ত।
এদিকে স্বজনদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। তারা বাল্কহেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই ট্রলারটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ১১ জন যাত্রী নিয়ে উত্তাল মেঘনায় ডুবে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় সে সময় পাঁচজনকে উদ্ধার হলেও নিখোঁজ থাকেন ৬ জন।
ঘটনার পরে নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিটিএ ঘটনাস্থলে আসে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারেনি। পরে আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়। পরে সুমনার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী অটোরিকশা চালক আমির জানান, একটি ট্রলারে করে তারা নদীতে বেড়াতে এসেছিল। সন্ধ্যার পর একটি বাল্কহেডের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রলারটি ডুবে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ঘাট থেকে দুটি ট্রলার ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে উদ্ধার করে।