মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ এর সার্বিক সহযোগিতায় দীর্ঘদিন চেষ্টার পর অপহরণ মামলার আসামি কে মাটিরাঙ্গার বাইল্যাছড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার পলাতক প্রধান আসামি ইসমাইল কে মাটিরাঙ্গার বাইল্যাছড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ জুলাই) ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, মুসলিম পাড়া ৯নং ওয়াডের মনিরুল ইসলাম তাইন্দং ইউনিয়নের আচালং ডিপি পাড়া গ্রামের মোঃ রবিউলের ছেলে ইসমাঈল হোসেনকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় ওই মামলা করেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলী ফোর্স নিয়ে মাটিরাঙ্গার বাইল্যাছড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আজ আসামীকে রাঙ্গুনিয়া থানায় প্রেরণ করা হচ্ছে এবং আগামী দিন তাকে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু আদালতে প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ভিকটিমের মা-বাবা মাটিরাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব মোহাম্মদ আলীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এ প্রতিবেদককে বলেন, উনি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী)এ মামলার ব্যাপারে এতটা আন্তরীক না হলে মেয়েকে উদ্ধার করতে পারতাম না এবং আসামির বড় ভাই মোহাম্মদ বিল্লালও এই মামলার সার্বিক সহযোগিতা করেন বলে তিনি সরেজমিন কে জানান। আসামির বড় ভাই মোহাম্মদ বিল্লাল জানান, আমার ভাই ইসমাইল একজন নারীলোভী প্রকৃতির ছেলে তার স্ত্রী ও একটি চার বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। কিছুদিন আগে খাগড়াছড়ি একটা হোটেলে মেয়ে নিয়ে সময় জনতার হাতে ধরা পরেন। পরে নারী নির্যাতন ৯-১ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। সেখান থেকে তাকে বের করতে আমাদের পরিবারের সকলকে বেগ পেতে হয় তবুও সে ভালো হয়নাই। জেল থেকে বেরিয়ে মুসলিম পাড়ায় ফেসবুকের মাধ্যমে ১৬ বছরের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ছোট এই মেয়েটাকে নিয়ে পালিয়ে যায় আমরা অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে তার মা-বাবার কাছে বুঝিয়ে দিলে তার মা বাবা মেয়েকে নানার বাড়িতে নিরাপদ এর জন্য রেখে আসে ওখান থেকে আমার ছোট ভাই ইসমাইল মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে ১৬ তারিখ মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাকে আনতে পারেনি।