এতদিন নাটকের সংলাপেই কেবল শোভা পাচ্ছিল “কোপা সামসু”নামের ডায়লগটি। এবার বাস্তবে পাওয়া গেল ফাহিম ওরফে চাপাতি ফাহিম। বয়স ২৫ বা ২৬। মানুষকে কোপানোই যেন তাঁর নেশা। ফাহিমের জীবন চলে রাজধানী শেওড়াপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি করে। চাঁদা না দিলেই চাপাতি দিয়ে কোপান তিনি। অবশেষে কোপাতে গিয়েই ধরা পড়ল পুলিশের হাতে।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় চাঁদা না পেয়ে এক মিষ্টি ব্যবসায়ীকে কোপানোর অভিযোগে রিভালবার ও চাপাতিসহ ফাহিম আহম্মেদ ওরফে চাপাতি ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর থানা-পুলিশ।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন আজ শনিবার ফাহিমকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই তাঁকে কোপাত ফাহিম। চাঁদাবাজির সময় হাতে চাপাতি থাকে বলে তাঁকে সবাই চাপাতি ফাহিম নামেই ডাকে।
ওসি মহসীন বলেন, দুই মাস আগেও ফাহিমকে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সপ্তাহখানেক আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের চাঁদাবাজি শুরু করেন। ফাহিম কয়েকদিন ধরে শেওড়াপাড়ার এক দোকানে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় শুক্রবার দোকান মালিকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দোকান থেকে টাকা নিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীরা ৯৯৯-এ কল করলে শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে ফাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে আহত দোকান মালিক রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে দোকান মালিকের বড় ভাই নূরে আলম সিদ্দিক জানান, ভুক্তভোগী পুরোপুরি সুস্থ হলেও তিনি দুটি হাত স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারাতে পারে।
ওসি মহসীন বলেন, ফাহিমের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ শেওড়াপাড়ার লোকজন। তাঁর বিরুদ্ধে আগেও ৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারও হয়েছেন কয়েকবার।
ফাহিমের দেওয়া তথ্যে শুক্রবার রাতেই তাঁর বাসা থেকে একটি রিভালবার ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি মহসীন।