কোটচাঁদপুর উপজেলার কামারকুন্ডু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক সাথে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
সরজমিন খোঁজ খবর নিয়ে জানাযায় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশনা ইউনিয়ন ক্লাস্টার এর কামারকুন্ডু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক সাথে একই রুমে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান।
ঐ স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রী ও চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রী এক রুমে একই সাথে সহকারী শিক্ষিকা পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন।
সহকারী শিক্ষিকার এর নিকট জানতে চাইলে বলেন এটা চতুর্থ শ্রেণীর পাঠদান চলছে।
কিন্তু পাশের স্থানে বসে শিক্ষা নেওয়া একজন ছাত্রীর নিকট জানতে চাইলে সে বলে আমি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি।
রুমের একপাশে তৃতীয় শ্রেণী অপরপাশে চতুর্থ শ্রেণীর পাঠদান কিভাবে চলতে পারে। তৃতীয় শ্রেণীর কোন ক্লাস নিচ্ছেন আর চতুর্থ শ্রেণীরই বা কোন ক্লাস নিচ্ছেন। সহকারী শিক্ষিকা বলেন চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাস চলছে আর তৃতীয় শ্রেণী বসে আছে।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে প্রথমে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে বলেন আজকে একজন শিক্ষক ছুটিতে ছিল তাই এভাবেই দুই শ্রেণীর ক্লাস হচ্ছিল। কিন্তু পরক্ষণেই একজন তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীর নিকট জানতে চাইলে বলেন কয়েক মাস ধরে একই রুমে এভাবেই দুই শ্রেণীর ক্লাস চলছে।
ছাত্র ছাত্রীরা পাঠদানের কথা সরাসরি বলাই প্রধান শিক্ষক পূর্বের কথা আড়াল করে বলেন একমাস ধরে চলছে। তখন বলা হয় আপনি বললেন শিক্ষক ছুটিতে ছিল তাই আজকে এভাবেই ক্লাস চলছে কিন্তু এখন বলছেন একমাস ধরে চলছে। এটা কি কোন নিয়ম নীতির মধ্যে পড়ে।প্রধান শিক্ষক বলেন এটা আমার সহকারি শিক্ষা অফিসার কোমল কুমার তিনি জানেন এবং বলেছেন এভাবেই পাঠদান করাতে।
জানতে চাওয়া হয় আপনার রুমের স্বল্পতা তো নেই। তাহলে রুম সংকট না থাকা সত্বেও কেন শিক্ষা কার্যক্রম এমনটি করছেন।
প্রধান শিক্ষকের রুটিন মোতাবেক ক্লাস থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে কোন ক্লাস নেন না উপজেলা শিক্ষা অফিসে কাজের দোহাই দিয়ে।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান স্কুল থেকে অফিসে যদি যেতে হয় স্কুলের মুভমেন্ট খাতায় স্বাক্ষর করে বের হওয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি জানান কোন মুভমেন্ট খাতায় নেই। এবং মুভমেন্ট খাতার কোন প্রয়োজন নেই বলে জানান।
জানান সরকারই চলছে অনিয়মে আমি কিসের নিয়ম নীতিতে চলবো। সরকার কি অনিয়মের মধ্যে চলছে ব্যাখ্যা জানতে চাইলে বলেন জানেন না। আপনি তো সরকারের আমলা। তাহলে কেন আপনি সরকারের অনিয়মের মধ্যে চলছে বলতে পারেন।
দুই শ্রেণীর পাঠদান একই সাথে এক রুমে অনুমতি দেওয়া সহকারী শিক্ষা অফিসার কোমল কুমারের সাথে তিনি জানান
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট জানতে চাইলে বলেন। দুই শ্রেণীর পাঠদান এক সাথে চলতে পারে না।