• শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
শিরোনাম
মহালছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির মানবিক উদ্দ্যোগ, ঈদ উপকরণ হিসেবে গরুর মাংস বিতরণ ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে পানছড়িতে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে মহাপরিচালকের উপহার সামগ্রী বিতরণ। মহালছড়িতে পালিত হয়েছে বিশ্ব তামাক দিবস ২০২৫ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত: পানছড়িতে সেনাবাহিনীর ঈদ উপহার বিতরণ পানছড়িতে দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানে ছাগল ও শুকর বিতরণ দৌলতদিয়া পোড়াভিটা থেকে মাদক সেবী ও মাদক কারবারি আটক নানিয়ারচরে বিআরডিবির দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ গোয়ালন্দে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে অবস্থান কর্মসূচি পালিত খাগড়াছড়িতে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ভিজিএফ (চাউল) বিতরণ মহেশখালীতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা মানিকছড়িতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত পাহাড়ের পাদদেশে থাকা পরিবারকে সরে যাওয়ার নির্দেশ লামায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে ৬০টি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা

রাতের অন্ধকারে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের ফেরীতে অবৈধ তিন তাসের নামে চলছে ডাকাতি

সাইফুর রহমান পারভেজ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) / ৩০১ জন পড়েছেন
প্রকাশিত : শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সাইফুর রহমান পারভেজ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ি) প্রতিনিধি

দক্ষিণ বঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত রাজবাড়ির দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরীঘাট। দেশের বহুল পরিচিতি এই ফেরীঘাট ব্যবহার করে প্রতিদিন লাখো মানুষের আসা যাওয়া রয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ার তিন তাস নামধারী একটি ডাকাত দল যাত্রীদের প্রচুর টাকা জেতার নামে প্রলোভন দেখিয়ে জুয়া খেলায় উৎসাহিত করে। পরে তাদের সর্বত্র ছিনিয়ে নিয়ে মুহুর্তের মধ্যে ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে পালিয়ে। এ সময় তাদের কাছে থাকে বিভিন্ন দেশী বিদেশি অস্ত্র। কেউ সহজে টাকা,স্বর্ন অলংকার,মোবাইল দিতে না চাইলে তাকে মারধোর সহ অস্ত্র দেখিয়ে জোর করে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এভাবে দিনের পর দিন লাখ লাখ টাকা যাত্রীদের কাছ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্রটি।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টায় দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর আবার ফেরীতে শুরু হয়েছে তিন তাসের নামে এই ডাকাতি। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের ফেরীতে ফেরীতে দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ বছর যাবত অবাধে এই তিন তাস খেলা চললেও। মাঝখানে বেশ কিছু দিন তা বন্ধ ছিল। এই চক্রের মুলহোতা আমজাদ এর নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি সংঘ বদ্ধ ডাকাত চক্র গভীর রাতে মাঝ নদীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ফেরী যেই মাঝ নদীতে পৌছায়, তখন তারা সবাই ফেরীতে উঠে শুরু করে তিন তাসের নামে ডাকাতি। ১০-১২ মিনিটের মধ্যে কাজ শেষ করে দ্রুতগামী নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায় চক্রটি। একদিন পরপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাকিঁ দিয়ে ফেরীতে ফেরীতে যাত্রীদের সর্বত্র লুট করে নিচ্ছে তারা। এই নৌপথ ব্যবহার করে চলাচল করা প্রতিটি যাত্রীর মুখ বুঝে তা দেখা ছাড়া কিছুই করার নেই তাদের।

পরিবহন চালক ও যাত্রীরা বলছেন, তিন তাস নামধারী ডাকাত চক্রের অত্যাচারে এই নৌপথ ব্যবহার করে চলাচল করা খুবই বিপদজনক হয়ে পড়েছে। এরা শুধু যাত্রীদের সর্বত্র ছিনিয়েই নেয় না। এদের আক্রমণের শিকার হয়ে যাত্রী ও চালকেরা আহত সহ প্রাণ নাশের সংসয় থাকে সবসময়।

এ ব্যাপারে দৌলতদিয়ার নৌ -পুলিশ ফাড়ির অফিসার ইনচার্জ, জেএম সিরাজুল কবির জানান, এই চক্রের প্রতিটি সদস্যকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করে বার বার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয় এদের প্রত্যেকের নামেই রয়েছে একাধিক ডাকাতির মামলা। কিছু দিন জেল হাজতে থাকার পর জামিনে বেড়িয়ে এসে তারা আবার শুরু করে তিন তাসের নামে এই ডাকাতি। দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা এই চক্রটিকে আটক করার জন্য অভিযান অব্যহত রেখেছে। যেকোন গ্রেপ্তার করা হবে এই চক্রের মুল হতো সহ অনন্যা সদস্যদেরকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো সংবাদ