রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার চর কর্ণেশন মৌজার আংকের শেখের পাড়া গ্রামে ১ হাজার ৫শ ফিট রাস্তার কাজ সম্পুর্ণ করা হয়েছে।এই গ্রামের মানুষের বহু দিনের স্বপ্ন ছিলো একটি রাস্তার। প্রায় দুই যুগ পরে হলেও তাদের স্বপ্ন পুরুন করতে এগিয়ে আসেন রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত এমপি আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরীর কন্যা সংরক্ষিত(৩৩৪) মহিলা আসনের মাননীয় সংসদ সালমা চৌধুরি রুমা এমপি।এতে করে আশার আলো দেখছেন গ্রাম বাসি। বাকি রাস্তাটি নির্মানের আশা করছেন অবহেলিত গ্রামটির সাধারন মানুষ। বহু দিনের স্বপ্ন পুরুনে এলাকা বাসি নুতুন রাস্তায় দাড়িয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও এমপি রুমা চৌধুরীর জন্য দোয়া করেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,গ্রামের নাম চর কর্ণেশন আংকের শেখের পাড়া।পদ্মার বুক চিরে জেগে ওঠা চর এটি। ১৯৮৮ সালের আগেও এটা ছিলো গভির পদ্মা নদী। ১৯৮৮ সালের বর্নায় পলি মাটি পড়ে জেগে ওঠে চর কর্নেশন মৌজা তার পর থেকেই ওই চরের জমিতে ফসল করতে শুরু করে এলাকা বাসি, ১৯৯৮ সাল থেকে একে একে বাড়ী করে বসবাস শুরু করেন শাতধীক পরিবার।দুই যুগ পার হলেও গ্রামটিতে যাতাযাতের জন্য তৈরি হয়নি কোন রাস্তা। বর্ষা মৌসুম ছাড়া বছরের অন্যান্য সময় পায়ে হাটার জন্য একটি সরক পথ থাকলেও বৃষ্টি হলেই পানি বন্ধি হয়ে পড়েন গ্রাম বাসি।কাপড় ভিজিয়ে কোমর অবধি পানির মধ্যে দিয়েই তাদের সারা বছর যাতায়াত করতে হয়।আর বর্ষা মৌসুমে ওই গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র পন্থা নৌকা। বছরের পর বছর ধরে এ গ্রামের মানুষগুলো এমন ভোগান্তি নিয়েই অবহেলিত জনপদে বসবাস করছেন। ইতি মধ্যে রাস্তাটির ৫শগজ সামনেই তৈরি হয়েছে একটি আশ্যয়ণ প্রকল্প যেখানে মাননীয় প্রধান মণÍ্রীর দেওয়া উপহারের ৪২ টি পাকা ঘর নির্মান করা হয়েছে। এই আশ্যয়ন প্রকল্প হয়ে আক্কাছ আলী হাই স্কুলের দিকে ২হাজার ফুট এবং আংকের শেখের পাড়া গামী ১৫শত ফিট রাস্তা হলে তারা গ্রাম থেকে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে
প্রায় দুই যুগ পরে হলেও তাদের স্বপ্ন পুরুন করতে এগিয়ে আসেন সংরক্ষিত(৩৩৪) মহিলা আসনের মাননীয় সংসদ সালমা চৌধুরি রুমা এমপি।ইতি মধ্যে তিনি ১ হাজার ৫শ ফিট রাস্তার কাজ সম্পুর্ণ করেছেন।এত করে আশার আলো দেখছেন গ্রাম বাসি।নুতুন রাস্তায় দাড়িয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাচিনার জন্য আল্লাহুর নিকট তার সার্ভিক কল্যানের জন্য দোয়া করেন এলাকা বাসি,সেই সাথে গ্রাম বাসির স্বপ্ন পুরুনের দুত এমপি সালমা চৌধুরী রুমা ও তার পরিবারের জন্য দোয়া করেন তারা।
গ্রামের বাসিন্দা মো. তারা মাতুব্বার (৪৫ মো.বাবু শেখ (৫০), সিরাজ খান (৫০),রাজ্জাক মৃধা(৬০),সামচু প্রামানিক (৬২),আরব আলী (৪৫),নিজাম মোল্লা (৬০)সহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন‘ গ্রামটি উজানচর ইউনিয়নের শেষ সিমানায় দৌলতদিয়া ঘাটের কাছাকাছি হওয়ায় ভোট ছাড়া আর কখনো আসেননা এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বাররা। গ্রাামটিতে প্রায় ৫শতাধিক লোকের বসবাস। রয়েছে শতাধিক স্কুল, মাদ্রাসা,কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী। বছরের বেশির ভাগ সময়ে তারা থাকেন পানি বন্ধি,আর বর্ষা মৌসুমে গ্রাম থেকে বের হতে হলে একমাত্র চলাচলের বাহন থাকে নৌকা। যে কারনে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত পাঠগ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না। কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে মৃতদেহ কবরস্থানে নেওয়ারও উপায় থাকেনা ওই গ্রামের লোকজনের।অবহেলিত এ গ্রামের মানুষ শুধু স্বপ্নই দেখতো হয়তো গ্রামে প্রবেশের একটা ভাল রা¯তা দেখে যেতে পারবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থাকবে? না কি বাস্তবে পরিণত হবে এমন শংকা নিয়েই দিনাতিপাত করছিলেন এখানকার বাসিন্দারা, এমন অবস্থায় প্রায় দুই যুগ পরে হলেও তাদের স্বপ্ন পুরুন করতে এগিয়ে আসেন সংরক্ষিত(৩৩৪) মহিলা আসনের মাননীয় সংসদ সালমা চৌধুরি রুমা এমপি।ইতি মধ্যে তিনি ১ হাজার ৫শ ফিট রাস্তার কাজ সম্পুর্ণ করেছেন।এতে করে আশার আলো দেখছেন গ্রাম বাসি। তারা বাকি রাস্তা টুকু দ্রæত নির্মাণেরও দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সংরক্ষিত মহিলা (৩৩৪)আসনের এমপি সালমা চৌধুরী রুমা মুঠোফোনে জানান, ওই এলাকার মানুষের সমস্যার কথা চিন্তা করে ইতি মধ্যে ১ হাজার ৫শ ফুট রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। বাকি রাস্তাটি বরাদ্ধ পেলেই দ্রত নির্মানের ব্যাবস্থা করা হবে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত