আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার বড়ডলু ডিপি পাড়া সৈয়দুল হকের ৫ম পুত্র গাড়ী চালক মো. নাসিম উদ্দীন গত বুধবার রাতে স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে গ্যাস সিলিন্ডারেরমূখে আগুন ধরিয়ে স্ত্রী,সন্তানাদি নিয়ে পালিয়ে যায়! এতে পিতা-মাতা,ভাইসহ ৪ সংসারে প্রায় ২৩ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি। থানায় মামলা করার প্রস্তুতি।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সৈয়দুল হকের ৬ষ্ঠ পুত্র মানিকছড়ি আইডিয়াল কলেজের প্রভাষক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা ৮ ভাই-বোনেরের মধ্যে ৪ ভাই ও আব্বা-আম্মা একই ঘরের নীচে পৃথক পৃথক রুমে বসবাস করি। খাওয়া-দাওয়াও আলাদা। আমার ইমিডিয়েট বড় ভাই জীপ গাড়ি চালক মো. নাসিম উদ্দীন বুধবার রাতে সাড়ে ১০টার পর খাওয়া-দাওয়ার পর স্ত্রীর সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়।
মূহুর্তের মধ্যে সে রান্না ঘরে গ্যাস সিলিন্ডারের মূখে আগুন ধরিয়ে দিয়ে প্রথমে সে এবং ব্যস্তার ফাঁকে তার স্ত্রীও ২সন্তান নিয়ে পালিয়ে যায়! এতে মূহুর্তেই পুরো গুদাম ও টিন বিশিষ্ট ঘরে আগুন দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা সকলে আতংকিত হয়ে ঘর থেকে ছোট শিশু ও অন্যান্য রুমের গ্যাস সিলিন্ডার বের করি এবং বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করতেই আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে ঘরের টিভি, ফ্যান, ফ্রিজ, আলমারি, খাট,চেয়ার, টেবিল কাপড় চোপর, জায়গা, জমিসহ পারিবারিক কাগজপত্র, ডকুমেন্ট ও নগদ ৪ লক্ষাধিক টাকাসহ সবকিছু পুড়ে ছাই! সব মিলিয়ে ২২-২৩লক্ষ টাকা ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। টিলার ওপরে ঘর হওয়ায় এবং আশপাশে পানি না থাকায় কিছুই রক্ষা সম্ভব হয়নি! পরনের কাপড় ছাড়া সবকিছুই ছাইয়ে পরিনত হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি স্থানীয় সরকার দিবসের একটি সভায় যোগদান করতে ঢাকায় অবস্থানকালে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবী আগুনে ২২-২৩ লাখ টাকার সম্পদ ধূলিসাৎ হয়েছে। এদিকে গতকাল বিকেলে সৈয়দুল হক মুঠোফোনে জানান, আমার পুত্র নাসিম উদ্দীন ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে স্ত্রী, সন্তানাদি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিষয়টি আমার কাছে পুত্রের কারসাজি মনে হচ্ছে। আমি অন্যান্য ছেলেদের সাথে পরামর্শ করে আজই থানায় মামলা দায়ের করব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এক সদস্য নিজেই গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পুরো ঘর পুড়ে দিয়েছে! বিষয়টি দুঃখজনক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক শুকনো খাবার ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত