আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি):
চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে মানিকছড়ি উপজেলার মহামুনি বাসস্টেশনে পানি নিষ্কাশন ড্রেনটির পূর্ব পাশে গড়ে উঠা বিভিন্ন ওয়ার্কসপ, মোটরস সামগ্রী বিক্রির দোকানে গাড়ী যাতায়াতের ফলে ড্রেনটি ভরাট হয়ে বছর জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আছে। এসব দেখার যেন কেউ নেই! ফলে সড়কে চলাচলরত ছোট যানবাহন সিএনজি অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে চলাচল করতে গিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে পোশাক নষ্টসহ এখানে মশার প্রজননক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে সরজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ির মহাসড়কের মানিকছড়ি উপজেলার মহামুনি বাসস্টেশনটি অনেক পুরানো ও সুপরিচিত। এখানে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের সকল যানবাহন ও মানিকছড়ি-ঢাকা যাতায়াতের শান্তি পরিবহনসহ জীপ ও সিএনজি অটোরিক্সার টার্মিনাল রয়েছে। এই ব্যস্ততম টার্মিনালের দক্ষিণ অংশে মূলসড়কে বর্ষাজুড়ে পানি জমে থাকায় অঘোষিত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে! আর জলাবদ্ধতার মূলকারণ সড়কের পূর্বপাশে ভান্ডারী ওয়াকসর্প, বিসমিল্লাহ ইঞ্জিনিয়ার ওয়াকসর্প, আচঁর মোটরস, মের্সাস আনোয়ার মোটরসসহ প্রায় ৩০টি ছোট-বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও একটি কমিউনিটি সেন্টারে গাড়ি পার্কিংয়ের পানি নিষ্কাশনে নির্মিত ড্রেনটির অস্থিত্ব বিলিন হয়ে গেছে! এতে করে মূলসড়কে পুরো বর্ষাজুড়ে হয়ে আছে জলাবদ্ধতা! জমে থাকা পানির পূর্ব পাশের মোটরপার্স বিক্রেতা রুবেল জানান, গ্যারেজে অবাধে গাড়ি পার্কিংয়ের ফলে ড্রেনের ওপর ব্যবসায়ীদের অর্থে বসানো স্লাপগুলো ভেঙে গিয়ে এখন ড্রেন ভরাট হয়ে গেছে! প্রায় ৫০ ফুট লম্বা ড্রেনের অস্থিত্ব নেই বললেই চলে! রাজু আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেই কবে ড্রেন করছে তা ভেঙ্গে সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আছে কিন্তু খবর নিতেও কেউ আসেনা। জমে থাকা পানির পূর্ব অংশের ব্যবসায়ীরা মাথা ঘামায় না।
ইউপি সদস্য মো. আইয়ূব আলী বলেন, এখানে একটি পুরনো ড্রেন আছে। সংস্কারের অভাবে এখন ড্রেনের চিহ্নও নেই। বাসস্টেশনে উন্নয়নেও কোন বরাদ্দ নেই! ফলে সড়কজুড়ে জমা পানিতে পরিবেশ দুষণ হচ্ছে! উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী বলেন, বাসস্টেশনে ছোট-বড় শতাধিক দোকান রয়েছে। রয়েছে ব্যবসায়ী কমিটিও। অথচ সড়কজুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে থাকলেও কেউই ড্রেন সংস্কার বা নির্মাণে এগিয়ে আসছে না বা কারও সহযোগিতাও চায় না! মূলত ব্যবসায়ীরাই পানি নিষ্কাশনে ড্রেন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতায় ভূমিকা নিতে হবে। আমি বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে উদ্যোগ নেব।
পার্বত্যকন্ঠ নিউজ/রনি
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত