টানাবর্ষণ হলেই চট্টগ্রামে বাড়ে পাহাড় ধসের শঙ্কা। পাহাড়ে থাকা মানুষকে সরাতে তোড়জোড় শুরু হয় প্রশাসনের।গুটিকয়েক পরিবারকে সরানো সম্ভব হলেও থেকে যায় বেশিভাগই। কর্তা-ব্যক্তিরা চলে যাবার পরপরই পাহাড়ের ফিরে যায় তারা। জেলা প্রশাসনের ২০১৯ সালের তালিকা অনুযায়ী, নগরের ১৭টি পাহাড়কে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এরমধ্যে ১০টি ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং বাকি সাতটি সরকারি বিভিন্ন সংস্থার। সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সিটি করপোরেশন, রেলওয়ে, চট্টগ্রাম ওয়াসা, গণপূর্ত এবং জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের পাহাড় রয়েছে। সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন এসব পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করা ৮৩৫ পরিবারের তালিকা করা হয়। মাত্র ৩৫০ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হলেও বাকি ৪৮৫টি পরিবার এখনও পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। পাহাড়ে বসবাসরতদের সরিয়ে নিতে তোড়জোর থাকলেও স্থায়ী কোনো সমাধান না করায় প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে কোনো তোয়াক্কাই করছেন না স্থানীয়রা।
নগরের বাটালি হিলে বসবাসরত মো. রফিক বলেন, বর্ষা হলেই শুধু আমাদের সরিয়ে নিতে চেষ্টা করে। কিন্তু স্থায়ী কোনো সমাধানের চিন্তা নেই। আমরা এখান থেকে সরে গেলে কোথায় যাব? লকডাউনের কারণে আমাদের কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই। শুধু প্রশাসন থেকে এসে বললেই হবে? সারাবছর তো আমরা বেঁচে আছি না মরে গেছি কেউ খোঁজ নেয় না। সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের প্রতি দরদ দেখা যায়।মো. জয়নাল নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের যে কদর রয়েছে আমাদেরও সে কদর নেই। বর্ষা হলেই আমাদের মাথার ওপর যে ছাদ আছে সেটা কেড়ে নিতে চায়। আরেকটা ছাদ কে করে দিবে সে চিন্তা কেউ করে না। তাই বাধ্য হয়েই আমরা ঝুঁকি নিয়ে এই পাহাড়ের পাশেই থাকছি। এদিকে, গতকাল ভারি বর্ষণের পর এখন পর্যন্ত ১৫০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান।
তিনি বলেন, সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। তাদের রাখার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চায় না। তাই সরিয়ে নেওয়া বাসিন্দারা নিকটবর্তী আত্মীয়-স্বজনের বাসায় রয়েছে। দুর্যোগকালীন সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যাতায়াত ঠেকাতে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত