রাজধানীর মুগদা থানার মান্ডায় শ্বাসরোধ ও কিল ঘুষিতে মমতাজ বেগম (৫০) নামে এক নারীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ছেলে সোহানকে(১৪) আটক করেছে মুগদা থানা পুলিশ।
বুধবার(৬ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে এই ঘটনা ঘটে।পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন,সকালে আমরা খবর পেয়ে মুগদা থানার দক্ষিণ মান্ডার ১৩১০ মহিলা মেম্বারের গলিতে যাই। সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় এক নারীকে আমরা পড়ে থাকতে দেখি। পরে আমরা তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠাই।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত ছোট ছেলে সোহানকে আমরা আটক করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে সোহান জানায়, তার এক বন্ধুর মোটরসাইকেল চালিয়ে সে নষ্ট করে ফেলে। পরে সেই মোটরসাইকেল ঠিক করার জন্য তার মার কাছে ৩৫০০ টাকা চায়। তার মা মমতাজ বেগম টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সোহানের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সোহান তার মার গলা চেপে ধরে এরপর তার মা অচেতন হয়ে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং কিল ঘুষিতে তার মায়ের মৃত্যু হয়। বর্তমানে সে আমাদের হেফাজতে আছে।
মমতাজ বেগমের বড় ছেলের সোহাগ বলেন, আমরা তিন ভাই আমি বাড্ডায় থাকি। মান্ডায় একটু দূরে আমার ভাই থাকে এবং আমার ছোট ভাই সোহানকে নিয়ে আমার বাবা-মা ওই বাসায় ভাড়া থাকে। আমার বাবা জলিল হাওলাদার একটি বাসার সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করে। আমার বাবা মাগরিবের আযানের পর ডিউটিতে চলে যায়। সকাল আটটার দিকে ডিউটি শেষ করে বাসায় আসে।আমার ছোট ভাই ভোর সাড়ে চারটার দিকে খেলতে যায়। সকালে এসে বাসায় এসে দেখে মা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে বাসার মালিকও আশপাশের লোকজন আসে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে আমার বাবা ও ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সে আরো জানায়, আমার ভাই বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছে ।পুলিশ আমাদের জানিয়েছে আমার ভাই আমার মাকে হত্যা করেছে টাকার জন্য। সে ছোট মানুষ আমাদের এখনো বিশ্বাস হয় না আমার ভাই এই কাজ করতে পারে তার সাথে কথা বলতে হবে। আমাদের বাড়ি বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার সলোদী গ্রামে।
মমতাজ বেগমের বাসার মালিক আরমান আলী বলেন, সকালবেলা সোহান এসে আমার দরজা জোরে জোরে ধাক্কাচ্ছিল। পরে আমি বের হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে। সোহান বলল আমার মাকে কারা যেন মেরে ফেলেছে।পরে আমি সে দেখলাম রক্তাক্ত অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। তার মাথা মুখে আঘাতের চিহ্ন ও গলায় একটি ওড়না পেঁচানো জিব্বা বাহির অবস্থায় দেখতে পায়। তার গলায় স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিল না। পরে পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছোট ছেলে সোহানকে আটক করে নিয়ে যায়।
আমার ভাই যদি এ কাজটি করে থাকে তবে তার একার পক্ষে এই কাজটি করা সম্ভব হয়নি।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত