মোঃ মাসুদ রানা, রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে প্রসূতির মৃত্যুকে গোপন করে অন্যত্র রেফার করার অভিযোগ উঠেছে সদ্য চালু হওয়া রামগড় মেমোরিয়াল হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
গত রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) প্রসূতি শিরীন আক্তারের মৃত্যু ঐ হাসপাতালে হয়েছে বলে জানান স্বামী আবুল খায়ের।
রামগড়ের পার্শ্ববর্তী উত্তর ফটিকছড়ির প্রত্যন্ত হলুদিয়া মাস্টারপাড়া গ্রামের আবুল খায়ের রোববার বেলা ১১ টার দিকে প্রসব ব্যথা নিয়ে মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্ত্রী শিরিনকে নিয়ে আসেন। মেমোরিয়ালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শারমিন আক্তার সুমি রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সিজার করতে হবে বলে জানালে আবুল খায়ের রোগীকে ভর্তি করান। ভর্তির পর রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রক্তের ব্যবস্থা করতেও বলেন। এর এক ঘন্টা পর ডাক্তার বলেন রোগীর অবস্থা ভালো না তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অচেতন স্ত্রীর গায়ে হাত দিয়ে স্বামী আবুল খায়ের ওই ডাক্তার কে বলেন রোগী মনে হয় মারা গেছে। তার উত্তরে ডাক্তার বলেন মারা গেলে কি করার আছে সবকিছু আল্লাহর হাতে।
পরে রোগীর আত্মীয়-স্বজনের সন্দেহ হলে রোগীকে রামগড়ের বাহিরের হাসপাতালে না নিয়ে মেমোরিয়ালের পার্শ্ববর্তী রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রোকসানা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় দরিদ্র দিনমজুর স্বামী বেসরকারি হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন।
এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য জানতে চাইলে রামগড় মেমোরিয়াল হাসপাতালের পরিচালক মো. আলম বলেন, রোগীটি এক্লাম্পসিয়া রোগে আক্রান্ত ছিলো। শ্বাসকষ্ট ও খিচুনির কারণে সিজার করা সম্ভব নয় বলে দায়িত্বরত ডাক্তার ওই রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করেন। তাদের হাসপাতালে রোগীর মারা যাওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন সূত্রে জানাযায়, রামগড় মেমোরিয়াল হাসপাতালের এখন পর্যন্ত সরকারি অনুমোদন নেই। একটি অনুমোদিত হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মত এরকম অপারেশন করানো আইনত দন্ডনীয়।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন বলেন, এ ব্যাপারে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত