২০ দিনের মাথায় ফের ডুবল বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। ভারি বর্ষণে নগরীর চকবাজার, মুরাদপুর, ফুলতলা ও বহদ্দারহাটসহ ২০ এলাকা তলিয়ে গেছে পানির নিচে। এদিকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে যেতে পড়েন বিপাকে।
বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট অতিরিক্ত জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নাগরিক জীবন। এক কথায় অবরুদ্ধ নগরবাসী। জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি চেয়ে নগরবাসী আকুতি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।
সকালে ঘর থেকে বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী ও সাধারণ পথচারীরা। অনেকে পায়ে কিংবা ভ্যানে করে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
চকবাজারের বাসিন্দা নেয়ামত উল্লাহ জানান, আমরা জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছি না। ঘরে পানি। সব জায়গায় পানি।
এদিকে জলাবদ্ধতার কারণে সময় মতো কেন্দ্রে যেতে না পারায় বিপাকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। যদিও ১০টার পরিবর্তে এক ঘণ্টা পিছিয়ে ১১ টায় করা হয়েছে বন্যার কারণে পিছিয়ে দেয়া চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা।
শিক্ষার্থী রফিক উদ্দিন জানান, পরীক্ষার সময় মাত্র ৩০ মিনিট আছে। কখন যাবো। টেনশনে আছি ঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারবো কি না।
হাঁটু বা কোমর সমান পানিতে ডুবেছে দোকানপাট। দোকানে পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে জিনিসপত্র। পানিতে আটকে নষ্ট হয়েছে গাড়ির যন্ত্রাংশ।তবে এ সময় আয় বেড়েছে রিকশা ও সিএনজি চালকদের।
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে তিন সংস্থাকে দেয়া হয়েছে সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। যদিও সংস্থাগুলোর মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের খেশারত দিতে হচ্ছে ৬০ লাখ নগরবাসীকে। ২০ দিন আগের জলাবদ্ধতায় ডুবেছিল পুরো শহর।
এদিকে রোববার বিকেল ৩ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ১২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত