শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো নেতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাঁর (শেখ হাসিনা) মতো জনদরদী, জনপ্রিয়, সৎ, দক্ষ, যোগ্য প্রশাসক নেতা একজনও নেই। কিন্তু বিএনপি কাকে নেতা বানাবে? তাদের দুজনই দণ্ডিত, পলাতক।
রাজধানীর মিরপুর-১ এর বালুর মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কাদের বলেন, নির্বাচনে নেতা হবে কে, কার নেতৃত্বে আজকে আন্দোলন করছে কেউ জানে না। হাওয়া নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাদের নেতা কে?
আদালতের আদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কবরে শুয়ে আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটার কি কোনো প্রয়োজন আছে? নাই। ওরা কেন চায়? এটাও ভুয়া। তাদের দফা, জোট ভুয়া। এখন বলে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের লোকজনের কোনো ক্ষতি হবে না। কি সুন্দর কথা। ওরা আসলে এক রাতেই সব শেষ করে দেবে। এটাই তাদের মনের কথা।
বিএনপি আমলে আমরা ঘরে থাকতে পারতাম না উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে বিএনপি। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিচ্ছে। তারপরও তারা বাসায় যেয়ে এয়ারকন্ডিশন রুমে ঘুমাচ্ছে। বড় আরামে আছে তারা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বড় বড় কথা বলে, মনে হয় খাঁটি ফেরেস্তা। কি সুন্দর কথা বলে। এত ভালো নেতা আমান ফলের রস খেয়ে সব ভুলে গেছে। গয়েশ্বর রায় হিন্দুর চেয়েও কড়া হিন্দু। ডিবি অফিসে নিয়ে গেছে, হারুন বলল, আপনার জন্য কিশোরগঞ্জ থেকে কোরাল মাছ এনেছি। কয় কোরাল মাছ ভালো। এদের কোন চরিত্র নাই।
কাদের বলেন, গায়ে একটা বাড়িও পড়েনি। ফলের রসও ভালো, কোরাল মাছও ভালো। কিছু খেয়েছে আবার বাসায়ও নিয়ে গেছে। এদের কোনো ঈমান নাই। ঈমান আছে শেখ হাসিনার।
উন্নয়ন দেখে বিএনপি চোখে অন্ধকার দেখবে উল্লেখ করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলে মনে হবে বাংলাদেশে নাই, ইউরোপে আছি। তাদের মুখে বড় বড় কথা মানায় না। এদের ভোট দিলে আবারও দুর্নীতি করবে, হাওয়া ভবন বানাবে। ভোট চুরি করবে। গণতন্ত্র গিলে খাবে। সবাইকে এক হতে হবে। শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেতা নাই। তাঁকে হারালে আপনারাই হারবেন। তিনি হারলে বাংলাদেশ হেরে যাবে। তাঁকে জেতাতে হবে গরিব বাঁচাতে।
কাদের বলেন, ফাইনাল খেলা হবে আগামী ডিসেম্বর, জানুয়ারিতে। খালি হাতে লড়ব, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করব। যে হাতে আগুন আসবে, সেই হাত পুড়িয়ে দেব। যে হাত ভাঙচুর করবে, সেই হাত ভেঙে দেব।