কুমিল্লার বরুড়ার ভাউকসার ইউনিয়নে চুরির অভিযোগে এক যুবকের পা ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পরে ওই ইউপি সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
শনিবার (২৬ আগস্ট) উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের চৌত্তা পুকুরিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের শিকার ওই যুবক একই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল হান্নান (৩২)। আটক ইউপি সদস্যের নাম জহিরুল ইসলাম। তিনি ভাউকসার ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের (চৌত্তা পুকুরিয়া) মেম্বার।
এ বিষয়ে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। অভিযুক্ত জহির মেম্বারকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ভাইরাল হওয়া ৫৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, চুরির অভিযোগে হাত পা বেঁধে হান্নানকে দোকানের সামনে উল্টো করে ঝুলিয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে। এ সময় হান্নান ‘মরে যামুতো, আমি মরে যামু, আমারে বাঁচান’ বলে চিৎকার করছিল। চারপাশে উৎসুক জনতা বিষয়টি দেখছিল।
ভাউকসার ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ জামান মাসুদ বলেন, হান্নান বর্তমানে সুস্থ আছে। তার বিরুদ্ধে আগেও চুরির অভিযোগ ছিল। আজ জহির মেম্বারসহ উৎসুক জনতা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। কেউ ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে। তবে এভাবে নির্যাতনের ঘটনা ঠিক হয়নি।
ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম বলেন, হান্নানসহ বেশ কয়েকজন যুবক প্রতিনিয়ত চুরি করে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। বেশ কয়েকবার তাকে জেলে পাঠানোর পরেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও চুরি করে। গেলো কয়েকদিন অটোরিকশার ব্যাটারি পিকআপ ভ্যানের যন্ত্রাংশ চুরি করে তারা। তার পরিবারও অসহ্য হয়ে উঠেছে৷ তাই আজ সকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরে এনে হাত পা বেঁধেছি। নির্যাতন করিনি।
এভাবে কাউকে ধরে এনে বিচার করা যায় কিনা? এমন প্রশ্নে ইউপি সদস্য জহির বলেন, আসলে এটা ঠিক হয়নি। এলাকাবাসীর ক্ষোভ নিবারণের করেছি।
যুবক হান্নানের বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুস বলেন, জহির মেম্বার সকালে আমাকে কল দিয়ে বলেছে সে (হান্নান) ব্যাটারি চুরি করেছে তাই রাতে তাকে আটক করেছে। আমরা যেন ঘটনাস্থলে যাই। আমি বলেছি যদি আমার ভাই অভিযুক্ত হয় আপনারা আইনের হাতে তুলে দেন। আমার ভাইকে এভাবে মারতে বলিনি।