টেলিগ্রামের পর এবার মেসেঞ্জারেও সিক্রেট গ্রুপ খুলে চলছে পর্ন ভিডিও বেচাকেনা। এমন ৩ শতাধিক গ্রুপের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসব গ্রুপের অ্যাডমিনরা নারীর সাথে সম্পর্ক ও গোপনে ভিডিও ধারণ করে বিক্রয় করে। সম্প্রতি রাজবাড়ী থেকে হযরত মন্ডল নামের এক যুবককে আটকের পর এসব তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। হযরতের মন্ডল ফোনে মিলেছে ৩ হাজারের বেশি ভিডিও।
সদ্য বিবাহিত এক তরুণীর সঙ্গে রাজবাড়ীর হযরত মন্ডলের পরিচয় আড়াই বছর আগে। এক আত্মীয়ের বাসায় পরিচিত হয়ে তারা। এরপর ফেসবুক হ্যাক করে কিছু ছবি হাতিয়ে নিয়ে শুরু হয় ব্ল্যাকমেইলিং।
ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় হযরত। এরপর বিভিন্ন সময় আপত্তিকর ছবি তুলে সেটির ভিডিও বানিয়ে অর্থ আদায় করতে থাকে সে।
বিয়ের পরও তরুণীর সেইসব ভিডিও বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে দেয় হযরত মন্ডল। পাঠানো হয় পরিবারের সদস্যদের কাছেও। উপায় না দেখে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে তরুণীর স্বামী। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় হযরত মন্ডলকে।
ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার ক্রাইম উত্তর বিভাগ উপ-কমিশনার তারেক আহমেদ বলেন, “হযরত মন্ডলের ফোন ঘেঁটে গোয়েন্দারা সন্ধান পান ৩ শতাধিক মেসেঞ্জার গ্রুপ। এসব গ্রুপে বিক্রি হয় পর্ন ভিডিও। হযরত মন্ডল অর্ধশতাধিক গ্রুপের এডমিন। তার ফোনেই মেলে ৩ শতাধিক পর্ন ভিডিও”।
এসব গ্রুপের সদস্য প্রায় ৫ হাজার। যাদের বয়স ১৬-২৫ বছর। এ ধরনের তৎপরতা বন্ধে অভিভাবকদেরও সতর্ক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।