খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলার ২নং পাতাছড়া ইউনিয়নের নাকাপার রসূলপুর ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আব্দুল লতিফ ও কুমিল্লা জেলার কান্দির পাড়ের বাসিন্দা মৃত মোঃতোয়াহা মিয়ার ছেলে ভূমি ব্যবসায়ী ও সরকারি ডাঃ খালেদ মাহমুদ গংদের বিরুদ্ধে ১০ একর বাগান করা ভূমি দখল ও জোঁরপুর্বক গাছ কাঁটার অভিযোগ তুলেন নাকাপা'র রসূলপুর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা প্রবাসী আবেদ আলী ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগম।
সেলিনা বেগম বলেন আমার স্বামী বিদেশ থাকা অবস্থায় আমাদের বাগানের কিছু গাছ ক্রয় করা জন্য ডাঃ খালেদ মাহমুদ এর লোক জন আমার বাড়ি এসে বলেন ওদের কাছে গাছ বিক্রি করতে।এতে আমি রাজি না হলে ওরা পরের দিন আমাদের না জানিয়ে জোঁরপুর্বক বাগানের বিভিন্ন প্রজাতের গাছ কেঁটে বিক্রি করেন। গাছ কাঁটার বিষয়ে আমি জানতে পারলে আমার ছেলে সহ বাধাঁ দিতে গেলে মেম্বার লতিফ ও ডাঃ খালেদ মাহমুদ এবং তাদের লোকজন আমাকে অপমান করেন এবং আমার ছেলেকে মারধর করেন। আমি গ্রামের সকলকে এই বিষয় অবগত করি,গ্রামের মানুষ ওদের ভয়ে কিছু বলতে চায় না। আমি বাগানে গেলে ওরা বলে ওদের কাছে বাগান বিক্রি করে আবার বাগানে কেন গেলাম।বাগানে যেনো আর না যাই,বাগানে গেলে আমাদের পরিবারের সবাইকে মেরে পেলারও হুমকি দেন।এবিষয়ে আমি খাগড়াছড়ি জেলা সি,আর কোর্ট (ফৌঃকাঃবিঃ১৪৫ ধারা ২২১/২০১৭,)মামলা করেছিলাম।মামলা করা পর ওরা প্রতিনিহত আমার বাড়িতে এসে হুমকি দমকি দিচ্ছে।আমাকে বলা হচ্ছে সমস্যা সমাধান হয়েছে বলে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য,না হয় আমাকে প্রাণে মেরে পেলবে,এমন হুমকিতে আমি একা হওয়াতে এবং স্বামীও বিদেশ। নিরাপত্তার কথা ভেবে ভয়ে মামলা তুলে নিয়েছি।তবে মামলা তুলে নেওয়ার পরও আজ পযর্ন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি।আমাদের জমি ওরা জোঁর করে দখল করে রেখেছে । গাছের বাবদও কোন টাকা পাইনি। বর্তমানে আমার স্বামী বিদেশ থেকে বাড়িতে এসে খালেদ মাহমুদ ও মেম্বারের কাছে এবিষয়ে আলোচনা করলে তারা আমার স্বামীকে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দিবে এবং বেশী কথা না বলে জমি ওদের নামে রেজিঃ করে দিতে বলে। আমরা বর্তমানে জমি থাকার স্বত্বেও এই ভূমিদস্যূদের জন্য মানবতার জীবন যাপন করছি, পাচ্ছি না ওদের ক্ষমতার কারণে সুবিচারও।
আবেদ আলী তার অভিযোগে জানান আজ থেকে ৯ বছর আগে আমি বিদেশ যাওয়ার সময় কিছু টাকার প্রয়োজন ছিলো। তাই আমার নামে রেকর্ড করা রামগড় উপজেলার ২নং পাতাছড়া ইউপি'র অধিনস্থ পরশুরামঘাট মৌজার অধিনে ২৭৬ নং হোল্ডিংয়ে ১০ একর ৩য় শ্রেনির ভূমি বিক্রি'র জন্য সিদ্ধান্ত নিলে আমার প্রতিবেশী স্থানীয় ওয়ার্ডের আব্দুল লতিফ মেম্বারের সহযোগিতায় কুমিল্লা জেলার কান্দির পাড়ের সরকারি ডাঃ খালেদ মাহমুদ ঐ জমি কিনার জন্য সম্মতি দেন কথাবার্তার মাধ্যমে জমির মুল্য ৮লক্ষ টাকা নির্দ্বারণ করা হয়,এর পর ডাঃ খালেদ মাহমুদ জমির বাবদ আমাকে দুই লক্ষ টাকা প্রধান করেন, তারপর কিছু দিন যাওয়ার পর আমি বাকি টাকা চাইলে ডাঃ খালেদ মাহমুদ আমাকে বলেন তার জমি লাগবে না আর দুই লক্ষ টাকা আমার কাছে ফেরত চান,এই বিষয়ে আমি স্থানীয় মেম্বারকে ঘটনা জানালে তিনি ডাঃ খালেদ মাহমুদ কে বলেন টাকা ফেরত দেওয়া লাগবে না আপনি জমিতে থাকা ফলফলাদি ৫বছর ভোগ করবেন এই বলে উপস্থিত সমস্যা সমাধান করেন।তার পর আমি বিদেশ চলে যাই। ডাঃ খালেদ মাহমুদ ৫বছর আমার জমির ফলফলাদি ভোগ শেষে জমি ছেড়ে দেওয়ার সময় আমি নগদ ৩০ হাজার,টাকা তাকে দিতে হয়েছে।এর পর আবারও নতুন করে ডাঃ খালেদ মাহমুদ ও লতিফ মেম্বার আমার কাছে চার লক্ষ্য টাকা চাঁদা চাইতেছে টাকা না দিলে ওরা জমি দখল ছাড়বে না বলে হুমকি দিচ্ছে।এবং লতিফ মেম্বারের সহযোগিতায় হারুন নামে এক লোক আমার বাগানের থেকে গাছ ক্রয়ের জন্য আমার স্ত্রীর কাছে গেলে আমার স্ত্রী গাছ বিক্রি করবে না বলে জানিয়ে দেন।তার পর আমাদের না জানিয়ে জোঁরপুর্বক আমার বাগানের গাছ গুলা হারুন -লতিফ মেম্বার সহ কেঁটে পেলেছে।এখন আবার নতুন করে ডাঃ খালেদ মাহমুদ মেম্বার লতিফ গংরা বলছে আমার জমি ওদের নামে লিখে দিতে না হয় আমাকে প্রাণে মেরে পেলবে। ওরা আমি বাহিরে থাকার সময় আমার স্ত্রী সন্তানের সাথেও খারাপ আচরণ করেছে। ডাঃ খালেদ মাহমুদ লতিফ মেম্বার কে বলেছেন আমাকে হত্যা করে তাকে জানানোর জন্য।যেকোন মুহুত্বে ওরা আমাকে মেরে পেলতে পারে।আমি চাই আইনের মাধ্যমে আমার জমি টা দখল মুক্ত করতে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ৩নংওয়ার্ডের যুবলীগ এর সভাপতি মোঃ ইমাম হোসেন বলেন আবেদ আলীর গাছ কাঁটা ও জমি দখলের বিষয়টি সত্য।রসূলপুরে বাসিন্দা গ্রাম পুলিশের সদস্য মোঃ রুবেল জানান আবেদ আলী জমি বিক্রি'র ও টাকার বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন,তবে আবেদ আলী জমি বিক্রি'র সব টাকা পায়নি বরং যে টাকা ডাঃ খালেদ মাহমুদ আবেদ আলীকে দিয়েছে সে টাকা আবার জমি লাগবে না বলে ফেরত চেয়েছেন,এতে আবেদ আলী টাকা দিতে পারে নাই বলে লতিফ মেম্বার সহ মিলে মৌখিক ভাবে তার জমি ৫বছরের জন্য লিজের সিদ্ধান্ত হয়।এখন আবার নতুন করে শুনা যাচ্ছে আবেদ আলীর কাছে ৪ লক্ষ্য টাকা দাবী করছে লতিফ মেম্বার ও খালেদ মাহমুদ গংরা,টাকা না দিলে জমিতে না যেতে।এবিষয়ে আমি ছাড়াও নাকাপা এলাকার কম বেশি সবাই অবগত আছেন।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ২নংইউপি'র ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল লতিফ বলেন আমার বিরুদ্ধে ভূমি দখল করার আবেদ আলীর এই অভিযোগ মিথ্যে, তার জমি কুমিল্লার ডাঃখালেদ মাহমুদ নামে একব্যাক্তির কাছে বিক্রি করেছেন,কত টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে তা আমি জানিনা, আবেদ আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে মেম্বার কে গাছে কাঁটার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান ।এদিকে বর্তমানে ভূমি দখলে থাকা ডাঃ খালেদ মাহমুদ বলেন আমি আবেদ আলী থেকে ৭লক্ষ টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করি,এর মধ্যে ৪লক্ষ দেওয়া হয়েছে। শুনানি শেষে রেজিঃ কাজও প্রক্রিয়াধীন আমার কাছে সব ডুকোমেন্ট আছে।
২নং ইউপি'র চেয়ারম্যান মনিন্দ্র ত্রিপুরা বলেন এবিষয়ে একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছিলো।সমাধানের লক্ষে একটি মামলাও হয়,পরর্বতীতে কি সমাধান হয় তা আমি জানিনা।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত