সাধন সাহা জয়, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
বর আসার আগ মুহুর্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে অবশেষে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল ১৫ বছরের এক কিশোরী।
ওই কিশোরী উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের শাহপুর জয়দুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম আজ দুপুরে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার শাহপুর গ্রামে আজ স্থানীয় মোশারফ হোসেনের (সৌদি প্রবাসী) কন্যা নবম শ্রেণির ছাত্রীর (১৫) সঙ্গে একই উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের দুরুইল গ্রামের নাঈম ইসলামের বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। নাঈম ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
কিন্তু গোপন সূত্রে বিয়ের খবর জানতে পেরে বরসহ বরযাত্রী আসার পূর্বেই নবীনগর উপজেলায় সদ্য যোগ দেয়া ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম বেলা ১১ টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাকির হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তিনি বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্রামের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন,’পাত্র পাত্রী খালাতো ভাই বোন। তাই দুই পরিবারের সম্মতিতে এই বিয়ে হচ্ছিলো।
গতকাল রাতে মেয়ের বাড়িতে ধুমধাম করে গায়ে হলুদও সম্পন্ন হয়। কিন্তু কনের বয়স ১৫ বছর হওয়ায়, আজ বিয়ের প্রাক্কালে ইউএনও স্যার বাড়িতে এসে বিয়েটি বন্ধ করে দেন।’
ওই কিশোরীর (পাত্রী) মা সালমা বেগম বলেন,’ছেলে (পাত্র) বোনের ছেলে। ঢাকায় ভালো চাকরি করে। তাই মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলাম। কিন্তু বর আসার আগেই ইউএনও স্যার যে বাড়িতে এসে এভাবে বিয়ে বন্ধ করে দেবেন, সেটি আমরা বুঝতে পারিনি।’
ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম আজ দুপুরে প্রতিবেদককে বলেন,’পাত্রীর বয়স ১৫ বছর নিশ্চিত হওয়ার পরই বিয়েটি তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেই।
পাশাপাশি কিশোরীর বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত তার বিয়ে হবে না মর্মে কিশোরীর অভিভাবকের কাছ থেকে মুচলেকা নেই।
বিষয়টি নজরদারিতে রাখার জন্যও স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিয়ে এসেছি।’