আব্দুল মান্নান, স্টাফ রিপোর্টার (খাগড়াছড়ি)
পার্বত্য খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ৫০ শয্যা হাসপাতালে জনবল সংকট। ফলে আউটসোর্সিং এ চলছে এক লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম! অনুন্নত জনপদে সচেতনতার অভাবে সর্দি, জ্বর, কাশি,ডায়রিয়ায়সহ নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। ফলে নিয়মিত হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ায় মেঝেতে রোগী ভর্তি রেখেও সেবা দিতে হয় চিকিৎসকদের।
আজ দুপুর পর্যন্ত ভর্তি রোগী আছে ৩৬ জন। ইনডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৫১ জন। সম্প্রতি ঘরে ঘরে ভাইরাস জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তের পাশাপাশি ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ইনডোর, আউটডোরে রোগীর ভীড়ে সেবকদের নাভিশ্বাস অবস্থা! রয়েছে ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট সংকট।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আশি হাজার মানুষের বসবাস এই উপজেলার চারদিকে রয়েছে রামগড়, গুইমারা,লক্ষ্মীছড়ি ও ফটিকছড়ির সীমান্ত। ফলে সীমান্তের কাছাকাছি মানুষ জরুরী সেবা নিতে আগে মানিকছড়ি হাসপাতালে এসে প্রাথমিক সেবা নিয়ে থাকেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১৭ সালে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট অবকাঠামো গড়ে উঠলেও এখনও ৫০ শয্যার জনবলও বেড বরাদ্ধ হয়নি। ১০শয্যার ৭৪টি জনবলের মধ্যে কর্মরত আছে ৪২ জন! শুন্য ৩২টি পদ। এর মধ্যে ৩য়-৪র্থ শ্রেণীর পদে শুন্য ২৯ জন! আয়া,ওয়ার্ড বয় পদ ৫টি। কর্মরত একজন! এ যেন 'মরার ওপর খাড়ার ঘা '।
শনিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ইনডোর, আউটডোরে রোগী চাপ সামলাতে চিকিৎসকেরা খুব ব্যতি ব্যস্ত! হাসপাতালের মেঝেতেও চিকিৎসা নিচ্ছে কয়েকজন! সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ায় ভর্তি ৩২ জন, ডেঙ্গুতে ৪জন। ডেঙ্গু পরীক্ষার কীট সংকটে ডায়াগনস্টিকে গিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাচ্ছে কেউ,কেউ।
বাটনাতলী হেডম্যান সাচিং চৌধুরী বলেন, আমার ছেলে জ্বরে আক্রান্ত হলেও হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষার ডেঙ্গু কীট না পেয়ে বাইরে ডায়াগনস্টিকে ডেঙ্গু সনাক্ত করতে হয়েছে! জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর রোগীর ভীড়। এ সময় ম্যানাজার বন্ধন বড়ুয়া জানান, ইদানিং ডেঙ্গু পরীক্ষার রোগী বাড়ছে।
ভাইরাস জ্বরে হাসপাতালে ভর্তি সংবাদকর্মী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এত বড় হসপিটাল, অথচ জনবল ও বেড এখনো ১০ শয্যার! তবে সংকট স্বত্বেও চিকিৎসক ও সেবিকারা সর্বোচ্চ দিয়ে সেবা চেষ্টায় ব্রত।
জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. মহি উদ্দীন পার্বত্য কন্ঠকে বলেন, আমরা সর্বোচ্চ দিয়ে উপজেলা ও পাশ্ববর্তী উপজেলার রোগীদেরও সেবা দিচ্ছি। এবার গুইমারা উপজেলার ১০/১২ জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা আমরা এখানেই দিয়েছি। এখনও ভর্তি আছে একজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফয়সাল কবির রজার্স পার্বত্য কণ্ঠকে বলেন, ৫০ শয্যা হাসপাতালের প্রশাসনিক অনুমোদন হয়েছে। জনবল পদায়ণ একটু সময়-সাপেক্ষ বিষয়। ওষধপত্র ও রোগীর খাদ্য সংকট নেই। জনবল কম হওয়ায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে । ডেঙ্গু পরীক্ষার কীটের সরবরাহ কম হলেও লোকালি তা সংগ্রহ করে সেবা চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
সম্পাদকঃ এম. শাহীন আলম।। প্রকাশকঃ উম্মে হাবিবা
যোগাযোগ: ০১৬৪৭-৬২৭৫২৬/ ০১৮২৩-৯১৯০৯৫ whatsapp
parbattakantho@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য আবেদিত
পার্বত্য কন্ঠ © ২০১৮-২০২৪ সংরক্ষিত